বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

বাঁশঝাড়ে ৪০ লাখ টাকার সেতু

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

আশপাশে বাঁশঝাড়। তার মাঝখানে একটা সেতু। তবে সেতুর সংযোগ সড়ক নেই। ফলে কোনো কাজেই আসছে না ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

ঘিওর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বীর সিংজুরী এলাকায় কৃষিজমিতে যাতায়াতের জন্য সেতু কালভার্ট প্রকল্পের আওতায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ চুক্তি হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইসাসা এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে। এরপর প্রতিষ্ঠানটি নিয়মবহির্ভূতভাবে সাব ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজটি সম্পন্ন করে।

সরেজমিন দেখা যায়, বীর সিংজুরী এলাকার মাটির রাস্তার পাশে বাঁশঝাড়ের আড়ালে পাঁচটি বাড়ির সীমানার মধ্যে ছোট একটি অগভীর খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। দুই পাশে সংযোগ সড়ক তৈরির কোনো ব্যবস্থা নেই। সেতুটির দুই পাশে বড় বড় দুটি বাঁশঝাড়।

বীর সিংজুরী গ্রামের বাসিন্দা আলী কাজী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাঁশঝাড়ের নিচে সেতু দিছে। আমরা সেতু দিতে মানা করেছিলাম, তাও মানে নাই। তারপরও জোর করে সেতু দিছে। এই সেতুর কোনো দরকার নাই আমাগো।’

একই গ্রামের নিলচাল মিয়া বলেন, ‘কয়েকটি বাড়ির জন্য সেতুটি করেছিল। সেতুটি করা ঠিক ছিল যদি আরেকটু নিচু করতো। রাস্তা ছেড়ে প্রায় সাত ফুট উঁচু করেছে। মাটি দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না।’

একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই গ্রামের শরব আলী দেওয়ান। তিনি বলেন, ‘এইখানে সেতুটির কোনো দরকারই ছিল না। কোনো লাইন (রাস্তা) নাই, তবুও সেতুটি করলো।’

সিংজুরী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্কাস আলী বলেন, ‘সেতুটি নিচু করে দিতে বলেছিলাম। চেয়ারম্যানকে দিয়েও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) বলিয়েছিলাম। তারা বলেন, আমাদের বিল আটকা যাইবো। সামনে দুই ফুট ও পেছনে পাঁচ ফুট মাটি পড়বো।’

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা সাব ঠিকাদার মিজান বলেন, ‘আমাকে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছে অফিস থেকে। ওয়ার্ক অর্ডারে যেখানে সেতুটি দেওয়ার কথা আমি সেখানেই করেছি। সংযোগ সড়কের বিষয়ে আমার কোনো মতামত নেই।’

এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই সেতুর কাজ এখনো শেষ হয়নি। এখনো ঠিকাদারের বিল দেওয়া হয়নি। কাজ শেষ হলে মানুষ সুবিধা পাবে।

জানতে চাইলে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা সুলতানা নাসরীন বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। সরেজমিন বিষয়টি দেখবো।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com