সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে হাট জমজমাট

বেনাপোল প্রতিনিধি :
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে হাট জমলেও করোনা মহামারির কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি যশোরের গদখালীর ফুলচাষিরা। তাদের দাবি, গতবছরের তুলনায় এবার প্রতিফুল তিন থেকে পাঁচ টাকা কম দরে বিক্রি হয়েছে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ফুলের ক্রয়মূল্য তুলতে পারা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা।

এদিকে ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলছেন, চাহিদা না থাকায় এ বছর বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে গত চারদিনে মাত্র পাঁচ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ফুলের বাজার শুরু হয়েছে।

আজ ছিল সবচেয়ে বড় বাজার। আজ ভোর থেকেই বাজারে গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, ভুট্টা কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকা, জিপসিসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল নিয়ে গদখালী হাটে হাজির হন চাষিরা। পর্যাপ্ত ফুল ওঠায় জমে ওঠে গদখালীর ফুলহাট। এ হাটে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে ফুল কেনেন।

চাষিরা জানান, গত বছর এসময় প্রতিপিস গোলাপ ১৫ থেকে ১৬ টাকা দামে বিক্রি হয়। অন্যান্য ফুলও উচ্চদামে বিক্রি করেছেন তারা। তবে এ বছর দাম তার থেকে কিছুটা কম। করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এ অবস্থা। তবে যে বেচাকেনা হয়েছে তাতে তারা সন্তুষ্ট। সুমন হোসেন নামে একজন চাষি বলেন, ‘আজকে আমি তিন হাজার গোলাপ ফুল নিয়ে এসেছি। শুরুতে ১০-১১ টাকা করে প্রতিপিস ফুল বিক্রি করেছি। পরে নয় টাকা করেও বিক্রি করেছি। ভূঁইয়ে আরো ফুল আছে। গত দুইদিনও ভালো দামে ফুল বিক্রি করেছি। এবছর করোনার কারণে সমস্যায় ছিলাম। তবে ফুলের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং দাম পাওয়ায় সন্তুষ্ট।

তবে গত বছরের তুলনায় এবার ফুলের দাম অনেক কম। ধারণা করেছিলাম, আজকের বাজারে প্রতিপিস গোলাপ ১৫- ১৬ টাকা দরে বিক্রি করবো।’

সোলায়মান হোসেন নামে আরেক চাষি বলেন. ‘ফুল নয় থেকে ১১ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। গোলাপ ফুল আনিছি ছয় হাজার। গতবছরের থেকে এবার মার্কেট কম। গতবছর মাল বিক্রি করেছি ১৭ থেকে ১৮ টাকা দরে। যে দাম পাওয়া যাচ্ছে তাও সন্তোষজনক। তবে করোনা ও আম্পানের পরে এ দামে লাভে যাওয়া যাবে না।’

আমিনুর রহমান নামে এক চাষি বলেন, ‘বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে প্রস্তুতিটা ভালোই ছিল। আশা করছিলাম এ বছর গোলাপের দাম ১৫ টাকা করে পাবো। অন্যান্য বছরের ন্যায়।

কিন্তু এবছর গোলাপের দাম তিন টাকা করে কম পাইছি। অন্যান্য ফুল রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাসের দামও অন্যবছরের তুলনায় কম পাচ্ছি। তারপরও আমরা আশাহত হইনি। মূলত করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বাজারে প্রভাবটা পড়েছে।’

এদিকে ক্রেতারা জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ফুলের ক্রয়মূল্য তুলতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তারা। পাবনা থেকে আসা রায়হান আলী নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আজ এ হাট থেকে গোলাপ ফুল কিনেছি আট থেকে দশ টাকার মধ্যে। আশা করেছিলাম ৫-৬ টাকার মধ্যে গোলাপ কিনতে পারবো। কিন্তু সেটা হলো না। আবার স্কুল-কলেজ বন্ধ। সেই ক্ষেত্রে ফুলটা কিনে নিয়ে ঠিকঠাক মতো বিক্রি করতে পারবো কি-না এটা নিয়ে একটু সংশয়ের মধ্যে আছি।’

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে আসা হায়দার আলী বলেন, ‘প্রতিবছর বসন্ত, ভালোবাসা দিবসের আগে ফুল কিনতে আসি। আট টাকা থেকে ১২ টাকার মধ্যে গোলাপ কিনেছি। জারবেরা, গ্লাডিওলাসসহ বিভিন্ন ফুল প্রতিপিস দশ টাকা করে কিনেছি। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এবার বেচাকেনা কম হবে। তাই একটু আতংকের মধ্যে আছি।’

শাহজাহান আলী নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি ফুল কিনে খুলনা, বাগেরহাট, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠাই। আজ সব আইটেমের ফুল কিনেছি। গতবছর ১৬ টাকা পর্যন্ত গোলাপ বিক্রি হইলো। এবার দশ টাকা করে কিনিছি। চাষিরা এবার কম দাম পেয়েছে। তারপরও একেবারে কম না।’

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার্স সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, চাহিদা না থাকায় এবছর বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া যায়নি। করোনার কারণে সারাদেশে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ, স্কুল-কলেজ বন্ধ। যার কারণে ফুলের চাহিদা নেই। গত চারদিনে মাত্র ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। এ কারণে আমরা সরকারের কাছে দাবি রাখতে চাই- সম্ভাবনাময় দেড় হাজার কোটি টাকার ফুলের বাজার রক্ষা ও স¤প্রসারণ করতে সারাদেশে সামাজিক অনুষ্ঠান সীমিত আকারে চালুর রাষ্ট্রীয় ঘোষণা দিতে হবে।

বাংলা৭১নিউজ/জিকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com