বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা নদীর পাড় ঘেষে দুই দিনে ২২ বসতভিটে তীব্র ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বসতঘর নিয়ে পার্শ্ববতী এম.পি. ডাঙ্গী গ্রামের রেড়িবাঁধের ওপর ও ফসলী মাঠের আনাচে কানাচে আশ্রয় নিয়েছেন। গত ক’দিন ধরে উপজেলা পদ্মা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পানি বৃদ্ধির সাথে কড়াল ¯্রােতের কোপে বসত ভিটেগুলো বিলীন হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মানস বসু ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সগীর হোসেন বলেন, “আমি ও জেলা প্রশানক মহোদয় ইতিমধ্যে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলাপ করেছি, যাতে করে ভাঙন রোধে জরুরী ভিক্ততে কাজ করা হয়”।
সহায় সম্বল হারানো ২১ পরিবার
উপজেলার ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামে শনিবার রাতে ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো হলো-পদ্মা নদীর পাড় ঘেষে বসতি মুক্তিযোদ্ধা ছকেল উদ্দিন মোল্যা, নোয়াই মোল্যা, আঃ রাজ্জাক মোল্যা, জুয়েল মোল্যা, জসীম খান, আঃ রশিদ মোল্যা, হায়দার মোল্যা, মনোয়ারা বেগম, ঈমান খান, আত্ত্বাপ মোল্যা, শেখ জালাল উদ্দিন, উজ্জল খান, জান খান, হায়দার খান, ফারুক খান, রানা খান, আঃ বারেক খান, আলাল খান, ডাঃ রশিদ খান, ডাঃ রশিদ মোল্যা আঃ করিম মন্ডল ও ফরহাদ হোসেন মোল্যা। একই সাথে ভাঙন কবলিত পদ্মা নদীর পাড়ে ফাজেলখার ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটিও চরম হুমকীর মধ্যে রয়েছে। বিদ্যালয়টি যেকোনো সময় বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো জানায়, গত ক’দিন ধরে বসতভিটে ঘেষে পদ্মা নদীতে পানি বুদ্ধির সাথে কড়াল ¯্রােত বিরাজ করছিল। দু’দিনের বৈরী আবহাওয়ার সাথে হালকা ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। এমনি প্রতিকুল পরিবেশের মধ্যে একের পর এক বসত ভিটেগুলো বিলীন হতে চলছিল। ওই রাতে এলাকাবাসীর সার্বিক সহায়তা নিয়ে ঘরগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস