রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

পদ্মা সেতুর নদী শাসন কাজে ব্যয় বেড়েছে ৮৭৭ কোটি টাকা

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

‘পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের নদী শাসন কাজের ভেরিয়েশন বাবদ পূর্ত কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চীনের সাইনোহাইড্রো করপোরেশনকে (এসএইচসিএল) আরও ৮৭৭ কোটি ৫৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। সেতু নির্মাণের এক বছর পরে নির্মাতা সংস্থাকে ভেরিয়েশন বাবদ এই অর্থ পরিশোধ করার একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নদী শাসন কাজ একটি অত্যাবশ্যকীয় অংশ। পদ্মা নদী খরস্রোতা বিধায় সম্ভাব্য ভাঙনের হাত থেকে অ্যাপ্রোচ সড়কসহ পদ্মা সেতু রক্ষার জন্য সেতু নির্মাণের পাশাপাশি মাওয়া প্রান্তে ১.৮৩৫ কিলোমিটার এবং জাজিরা প্রান্তে ১১.০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী শাসনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাউনসেল এইসিওএম থেকে মূল সেতু, নদী শাসন ও অ্যাপ্রোচ সড়ক কাজের ডিটেইল ডিজাইন করা হয়েছে। এফআইডিআইসি কন্ট্রাক্ট ডকিউমেন্ট অনুযায়ী পদ্মা সেতু সংলগ্ন নদী শাসন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং ২০১৪ সালে ১৯ জুন তারিখে চূড়ান্ত দরপত্র গ্রহণ করা হয়।

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর  সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের নদী শাসন কাজের জন্য চীনা ঠিকাদার এসএইচসিএলকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।

উক্ত প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর এসএইচসিএল এর সঙ্গে ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর ৪৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্নের লক্ষ্যে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। যার চুক্তিমূল্য ৮৭০৭ কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৬ টাকা। উক্ত কাজ তদারকির জন্য কোরিয়ান এক্সপ্রেস করপোরেশন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস নিয়োজিত আছে।

সূত্র জানায়, নদী শাসন কাজের চুক্তির আওতায় মওয়া প্রান্তে ১.৮৩৫ কিলোমিটার এবং জাজিরা প্রান্তে ১১.০৮ কিলোমিটার। এর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে (-) ২৫ মিটার গভীরতা পর্যন্ত ড্রেজিং, বালি ভর্তি ৮০০ কেজি জিও ব্যাগ দিয়ে লাউঞ্চিং অ্যাপ্রন নির্মাণ, স্লোপ এ লাউঞ্চিং অ্যপ্রোন পর্যন্ত ১২৫ কেজি জিও ব্যাগের উপরে রক রিপর‌্যাপ এবং সিসি ব্লক ডাম্পিং, বাঁধ নির্মাণ এবং স্লোপ এর উভয় দিকে সিসি ব্লক বসানো, বাঁধের ঢালে ভেটিবার লাগানো ও নদী শাসন কাজের সীমানায় পানি প্রবাহের জন্য ৫টি অফটেক নির্মাণ।

সূত্র জানায়, ক্রয় কমিটির অনুমোদিত এবং ঠিকাদারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় কিছু আইটেমের ব্যয় কাজ চলাকালে বৃদ্ধি পেয়েছে, কিছু আইটেমের কাজের পরিমাণ কমেছে এবং কিছু আইটেমের কাজের পরিমাণ অপরিবর্তিত রয়েছে। এ ধরনের প্রায় ১৩ কাজের পরিমাণ পরিবর্তন হয়েছে।

বেশ কিছু কারণে নদী শাসন কাজের চুক্তি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সূত্র জানায়। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নদী শাসন সম্পন্ন করতে মূল চুক্তিপত্রের সময়সীমার অতিরিক্ত ৫৫ মাস সময় বেশি লাগে। প্রাকৃতিক কারণে বছরের বেশ কয়েক মাস ড্রেজার চলাচল করতে না পারায় নদী শাসনের কাজ ব্যাহত  হয়।

এই কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া, কোভিড-১৯ চলাকালে বিদেশ থেকে ঠিকাদারের জনবলসহ পাথর ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি আমদানি সীমিত হয়ে পড়ে। কোভিড-১৯ এর সময় ঠিকাদারের লোকবল কমে যাওয়াটাও  অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়েছে।

সূত্র জানায়, ৩য় সংশোধিত প্রকল্পটি একনেক গত ১৮ এপ্রিল তারিখে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল। কাজের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় ভেরিয়েশন প্রস্তাব মূল চুক্তিমূল্যের ১০.০৭৮ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ঠিকাদার সংস্থাকে অতিরিক্ত ৮৭৭ কোটি ৫৩ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৩ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com