সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

পণ্যের ক্রমাগত মূল্য বৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত ক্রেতারা

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা
  • আপলোড সময় রবিবার, ৬ মার্চ, ২০২২
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

মাছে-ভাতে বাঙালি প্রবাদের প্রচলন থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পাতে যেন ডাল-ভাতেও টান পড়তে চলেছে। আর বাজারে এসে দামের সঙ্গে না পেরে নিজেদের বেহাল দশা তুলে ধরছেন ভোক্তারা। এদিকে দোকানিরা বলছেন, কমেছে ক্রেতা, কমেছে বিক্রিও।

মাছে ভাতে বাঙালি বলা হলেও বাঙালির পাত থেকে মাছ যেন হারাতে বসেছে।

লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী দামের আঁচ তাঁতানো মাছের বাজারে। অবশ্য কয়েকদিনে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়ে যাওয়াকে স্বাভাবিকই মনে করছেন বিক্রেতারা। বাজারে পণ্যের দাম বাড়া নিয়ে বিক্রেতারা বলেন, বাজারে ক্রেতাই নেই। অন্যান্য জিনিস কিনতে পকেটে টাকাই থাকে না।

এদিকে বাজারে আসা ক্রেতারা বলেন, মাছে-ভাতে বাঙালি এ প্রবাদ টা অনেক আগেই বাংলাদেশে থেকে চলে গেছে। আমরা ডালে-ভাতে বাঙালি হতে চেয়েছিলাম, তবে সেটাও আমাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

দুই তিন দিনের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই চিকন চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। মোটা দানার এক কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। সরকারি হিসাবে এক বছরে বেড়েছে ৩০ টাকা।

বাজারে চালের সংকটের কথা জানিয়ে চাল বিক্রেতারা জানান, মিল মালিকরা বলেছে ধানের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। আজ তিন দিন যাবত চালের বাজারে বেশ ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। মিনিকেটে কেজি প্রতি প্রায় ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে ও নজিরশাহ চালের কেজি প্রতি ৩ টাকা বেড়েছে।

আর চিনিতে বেড়েছে ২ টাকা। বাড়তি মসলার বাজারও। তাই ডাল ভাতের হিসাব মেলানোও যেন দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তদের।

পণ্যের ক্রমাগত দাম বাড়ায় বিপর্যস্ত ক্রেতারা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, বাজার তদারকির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে খারাপ। দেশে একবার কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তার আর কমার কোনো নাম নেই। বাড়ছে তো বাড়ছেই।  

দাম বৃদ্ধির দৌড়ে যেন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে একেকটি পণ্য। এই দৌড়ে ঘাম ছুটে যাওয়া ভোক্তারা চান বাজারে চাহিদা মতো পণ্যের সরবরাহ, আর কষ্ট করে হলেও নিত্যপণ্যের দাম যেন থাকে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাবের মধ্যে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com