সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

ধানের দাম বেশি হলেও সার-কীটনাশকে মার খাচ্ছেন চাষিরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

গত বোরো মৌসুমের চেয়ে এবারের বোরো মৌসুমে ধানের দাম বেশি হওয়ার পরও সার কীটনাশকের দাম ও সেচ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। বোরো ধান চাষ করে বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন চুক্তি নিয়ে জমি চাষ করা কৃষকেরা।

তবে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা ধান শুকিয়ে ভালো দামের আশায় মজুত করে রেখেছেন। এতে করে ধানের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তবে ধানের দাম এখনো আমন মৌসুমের চেয়ে অনেক কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. আনিছুজ্জামান জানান, চলতি বোরো মৌসুমে এবার জেলায় ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে ১ হাজার ৪২০ হেক্টর বেশি। গত মৌসুমে হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন ছিল ৪ দশমিক ৫৪ মেট্রিক টন। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ৫৯ মেট্রিক টন। এবার চালের হিসাবে জেলায় উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ ২ হাজার মেট্রিক টন চাল।

তবে কৃষকরা বলছেন, প্রচণ্ড খরায় সেচ বেশি লাগায় ও বালাইনাশকসহ এবার বিভিন্ন কারণে খরচ বেশি হয়েছে। তবে গত বোরো মৌসুমের চেয়ে এবার ধান বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমন মৌসুমের চেয়ে কম।

 

খবর নিয়ে জানা গেছে, আমবাড়ী হাটে শুক্রবার (১২ জুলাই) ব্রি-৯০ জাতের শুকনা ধান ৭৬ কেজির বস্তা বিক্রি হয়েছে ২৬০০ থেকে ২৮০০ টাকা, ভারতীয় সম্পা জাতের কাটারি ২২০০ ও বগুড়ার সম্পা জাতের কাটারি ধান বিক্রি হয়েছে থেকে ২৬০০ টাকা পর্যন্ত। আর ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ও মিনিকেট ধান বিক্রি হয়েছে ২৬০০ থেকে ২৭০০ টাকা পর্যন্ত। তবে কাঁচা ধান বিক্রি হয়েছিল প্রকার ভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কম দামে।

গত বোরো মৌসুমে ব্রি-৯০ জিরা কাঁচা ধান ১৭০০ থেকে ১৯০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য ধানের দামও ছিল কম। মাঝে আমন মৌসুমে ব্রি-৯০ জিরা ধান বিক্রি হয়েছিল কাঁচা ৪২০০ টাকা, আর শুকনা বিক্রি হয়েছিল ৫২০০ টাকা পর্যন্ত।

 

দাম ভালো পাওয়ায় দিনাজপুরের কৃষকরা এবার ৬০ শতাংশ জমিতে ব্রি-৯০ ও সম্পা জাতের ধান চাষ করেছেন। এই দুই ধানে বালাইনাশকের খরচ বেশি পড়ে।

দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, গত বোরো মৌসুমের চেয়ে এবার বোরো মৌসুমে ধানের দাম বেশি। কিন্তু সার, কীটনাশক ও সেচ খরচ বেড়ে যাওয়ায় উচ্চমূল্যে জমি চুক্তি নিয়ে চাষ করায় বর্গা চাষিরা লোকসানে পড়েছেন।

তারা এক একর জমি ৮০ হাজার টাকায় বছর চুক্তি নিয়েছেন। আবার অনেকের নিজস্ব সেচের ব্যবস্থা নেই। যারা চুক্তি নিয়ে বোরো ধান চাষ করেছেন এবং নিজস্ব সেচ ব্যবস্থা নেই তারা সবাই লোকসানের মুখে পড়েছেন। তবে যাদের নিজস্ব জমি ও সেচের ব্যবস্থা রয়েছে তারা লাভে রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া আমন মৌসুমের ব্রি-৩৪ জাতের ধানের দাম বেশি ছিল। আমন মৌসুমে এই ধান বিক্রি হয়েছে ৫২০০ টাকা পর্যন্ত। অনেকে লাভের আশায় রেখে দিয়ে এখনো বিক্রি করতে পারেননি। আমার নিজের ধান রয়েছে ৯২ বস্তা। যা এখন ৩৪০০ টাকা বস্তা বলছে। তখন লাভের আশা না করে বিক্রি করে দিলে ৫২০০ টাকা বস্তা বিক্রি হতো।

ফুলবাড়ী উপজেলার পানিকাটা গ্রামের কৃষক বাবুল আক্তার বলেন, ধানের দাম গত বোরো মৌসুমের চেয়ে বেশি। কিন্তু এবার কীটনাশকের দাম যে হারে বেড়েছে সে হারে ধানের দাম বাড়েনি।

গত বছর যে ডেপ সারের বস্তা ছিল ৮০০ টাকা সেটা এবার ১২৫০ টাকা, ইউরিয়া সার গত মৌসুমে ছিল ৮০০ টাকা এবার সেটা ১০০০ টাকা, পটাশ গত বছর ছিল ৭০০ টাকা বস্তা এবার সেটা দ্বিগুণ হয়ে ১৪০০ টাকা বস্তা কিনতে হয়েছে।

আবার নতুন জাতের সুগন্ধি ধান ব্রি-৯০ জিরা ধানের চাষ হয়েছে বেশি। এই ধানে কীটনাশক স্প্রে করতে হয় বেশি। চারবার কীটনাশক স্প্রে করতে খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। যা আগে ৪০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকায় হতো। শ্রমিকের মজুরি ও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সেচ খরচও বেড়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটতো আছেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসায়ীরা ধানের উৎপাদন বাড়লো না কমলো, এটা নিয়ে চিন্তা করে না। তারা চালের বাজার দেখে ধান কেনাবেচা করে। লাভের আশাতো অবশ্যই থাকবে। সার, কীটনাশকের দাম ও উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেতো আমাদেরও করার কিছু নেই। ব্যবসায়ী কমে গেছে। আগে অনেক হাসকিং মিল ছিল, এখন হাতেগোনা অটোরাইস মিল। তাছাড়া প্রযুক্তির যুগে নিমিষেই সারাদেশে যোগাযোগ করা যায়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com