শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

‘দেশের ক্রান্তিলগ্নে বিচার বিভাগ কখনো পিছপা হয়নি’

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন,দেশের ক্রান্তিলগ্নে বিচার বিভাগ কখনো পিছপা হয়নি।যখনই কোনো অন্যায় দেখেছে বিচার বিভাগ সেখানেই হস্তক্ষেপ করেছে।

সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে এই দিনে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তৎকালীন সরকার হত্যাকারীদের বিচারের পথ বন্ধ করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি ও খুনিদের পুরস্কৃত করে।

তিনি বলেন, দেশের বিচার বিভাগ এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বিচারের পথ প্রশস্ত করে। শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাই নয়, জেল হত্যা মামলার জন্য সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী, অষ্টম সংশোধনী এবং ত্রয়োদশ সংশোধনী সুপ্রিম কোর্ট বাতিল ঘোষণা করে। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এসব রায়ই প্রমাণ করে, বিচার বিভাগ দেশের ক্রান্তিলগ্নে কখনই পিছপা হয়নি। যখনই কোনো অন্যায় দেখেছে সেখানেই হস্তক্ষেপ করেছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে বিচার বিভাগকে যথাযথ মর্যাদা ও স্বীকৃতি দিতে অনেকেই পিছপা হতেন। নির্বাহী বিভাগ ও জাতীয় সংসদের পাশাপাশি বিচার বিভাগও যে রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সেটি প্রকাশ করা আমাদের (বিচারপতিদের) কর্তব্য।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশের অধিকাংশ লোকই এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করার নৈতিক সাহস হারিয়ে ফেলেছিল। দেশবাসী কল্পনাও করতে পারেনি, যে বঙ্গবন্ধুকে এভাবে হত্যা করা হবে।

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘সিনিয়র বিচারপতিরা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম হয়েছিল। একজন জেলা জজ রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিম্ন আদালতে এই মামলার রায় দিয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করতে নানা প্রতিকূলতা ছিল। মামলাটি কার্যতালিকায় আনা ও বেঞ্চ গঠন নিয়ে নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটে।

এ ধরনের একটি ঘটনা নিয়ে বিচারকরা জাজেজ লাউঞ্জে কনফাইন্ড (বন্দি) ছিলেন। এরপর হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করে এবং মামলাটি আপিল বিভাগে আসে। এরপর আপিল বিভাগ মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করেন। আপিল বিভাগের ওই বেঞ্চের একজন বিচারক হিসেবে এই মামলায় অংশ নিতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।’

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, আপিল বিভাগের রেজিস্টার জাকির হোসেন, হাইকোর্টের রেজিস্টার সৈয়দ আবু দিলজার হোসেন, অতিরিক্ত রেজিস্টার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা৭১নিউজ/আরএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com