রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

দূতাবাসের সহযোগিতায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেল প্রবাসীর পরিবার

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় ১৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পেল মৃত খালিদ শেখের পরিবার। গত ১০ নভেম্বর মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের তিলকগংয়ের একটি কারখানায় কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বাগেরহাট জেলার প্রবাসী খালিদ শেখ। সে সময় সহকর্মীরা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, প্রবাসী খালিদ শেখের মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে মরদেহ দেশে পাঠানোর চেষ্টা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দেশে থাকা খালিদের পরিবারের কাছে কোম্পানি অভিযোগ করে মরদেহ দেশে পাঠাতে ছাড়পত্র দিচ্ছে না দূতাবাস।

কিন্তু ওই কোম্পানি থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাড়া মরদেহ দেশে পাঠানোর অনুমতি না দিয়ে মাত্র চার দিনের মধ্যে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন। নিহত খালিদ শেখের পরিবারের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়ার পরই ওই ছাড়পত্র দেয় বাংলাদেশ দূতাবাস।

দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক মালয়েশিয়ায় মৃত্যুবরণ করলে এবং তা হাইকমিশনের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে হাইকমিশন সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে হাইকমিশনের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের আত্মীয়-স্বজন হারালে যে ব্যথা অনুভব করেন, একই ব্যথায় ব্যথিত হয়ে মরদেহ পাঠানোর কাজটি করে থাকেন। ডকুমেন্টেড অথবা আনডকুমেন্টেড যেকোনো কর্মীর মৃত্যু হলে মরদেহ দেশে প্রেরণের জন্য ডেথ সার্টিফিকেট, মেডিক্যাল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও কাসকেট কোম্পানি নিয়োগের প্রয়োজন হয়। ডকুমেন্টেড কর্মীর দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হলে ইন্স্যুরেন্স বাবদ ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি সময় সাপেক্ষ বিষয়।

কিন্তু হাইকমিশন যেকোনো মৃত্যুর ক্ষেত্রে কোম্পানির নিকট থেকে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে থাকে। কোনো কোম্পানিই স্বাভাবিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না, দিতে চাইলেও সেক্ষেত্রে গড়িমসি করে। যেকোনো পরিমাণ ক্ষতিপূরণ আদায়ে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়। মরদেহ প্রেরণে এ দেশে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টার কারণে কোনো কোনো মরদেহ প্রেরণে কিছু সময় বেশি লাগে। এক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির স্বজনরা অধৈর্য হয়ে পড়েন এবং কখনো কখনো দূতাবাসকে ভুল বোঝেন।

এ সময় নিহতের পরিবারকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আবেদন প্রাপ্তির যথাযথতা সাপেক্ষে তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে হাইকমিশনের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইস্যু করা হয়। প্রবাসীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিতে হাইকমিশন সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর।

প্রসঙ্গত, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানার চর আস্তাইল গ্রামের খলিদ শেখ ভাগ্য উন্নয়নের আশায় এক দশক আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। হঠাৎ মালয়েশিয়ায় কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় খালিদ নিহত হলে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে তার পরিবার। এরপরই নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com