বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০২:১৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

দুঃস্থ কেউ থাকবে না: শেখ হাসিনা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
  • ১৭০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, কুড়িগ্রাম: দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি হতদরিদ্রদের সামনে এগিয়ে নিয়ে আসতে সরকারের অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আমরা দুঃস্থদের সাহায্য দিচ্ছি। কিন্তু দুঃস্থ মানুষ, দুঃস্থ থাকুন- সেটা আমরা আর চাই না। সেটা থেকে মুক্তি মিলছে এখন।”

বুধবার সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী থানাহাট এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’- এই স্লোগানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে হতদরিদ্রদের মাঝে বছরে সাড়ে সাত লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে।

চিলমারীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত উদ্বোধনী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সেখানে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা ও মানব উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার একটা প্রতিজ্ঞা ছিল সুযোগ পেলে বাংলাদেশের মানুষের ক্ষুধা-দারিদ্র‌্য দূর করার জন্য কাজ করব। তাতে জাতির পিতার আত্মা শান্তি পাবে। তিনি বেহেশতে থেকে দেখবেন, তার দুঃখী মানুষ আর দুঃখী নেই। পেটপুরে এখন খেতে পারছে।” “তার সেই চিন্তা থেকে আমরা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। আজকে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “একটা মানুষ কষ্টে থাকবে না, একটা মানুষ না খেয়ে থাকবে না, একটা মানুষ গৃহহীন থাকবে না।”

বন্যায় যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথা জেলা প্রশাসনকে বলার কথাও এসময় উল্লেখ করেন তিনি।

মানুষের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনীতি করি কাদের জন্য? আপনাদের জন্য। দেশের মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সেজন্য।”

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির লক্ষ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে কোনো মানুষ যেন দরিদ্র না থাকে … বাংলাদেশ উন্নত হবে, সমৃদ্ধ হবে- সে লক্ষ্যে আমরা এই কর্মসূচি চালু করেছি।”

রংপুর অঞ্চলের পরিবর্তন নিজ চোখে দেখার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “কুড়িগ্রামের প্রত্যেকটি উপজেলায় আমি গিয়েছি। রাস্তাঘাট ছিল না, নৌকায় পারাপার হতে হয়েছে, মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়েছে। আমি সমগ্র বাংলাদেশে ঘুরেছি, দেখেছি মানুষের কষ্ট।

“এই কষ্ট দূর করবার জন্য ৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন থেকে আমরা কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন করতেই হবে, তাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতেই হবে; বাঁচার সুযোগ করে দিতেই হবে।”
বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি সেগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি একে একে। আজকে মানুষকে সাহায্য করে যাচ্ছি।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া বাহাত্তরের সংবিধানে প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক এবং মেয়েদের শিক্ষা মাধ্যমিক পর্যন্ত অবৈতনিক করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। আমরাও এদেশের মানুষকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চাই।”

প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ সরকারি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কোনো ছেলে-মেয়ে অশিক্ষিত থাকবে না। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাবে।”

তিনি বলেন, “আমার যুবক ভাইয়েরা যারা লেখাপড়া শিখে চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়। তাদের যাতে ঘুরতে না হয় সেজন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি।

“কোনো জামানত ছাড়া একজন যুবক সেখান থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে, নিজেরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে, এককভাবে বা যৌথভাবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের প্রতিটি সমস্যা আমার নিজের চোখে দেখা এবং বাবার বড় সন্তান হিসেবে তার কাছ থেকে শুনেছি বলে আজকে আমি জানি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কী করতে হবে। সেটার মাধমে একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।”

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের ভয়াবহতার বিরুদ্ধে অভিভাবক, শিক্ষক, প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একদিকে যেমন যার যার সন্তান, সে কোথায় যায়, কার সাথে মিশে সেদিকে যেমন আপনাদের নজরদারি বাড়াতে হবে, তাদের সমস্যা চিহ্নিত করতে সংযোগ বাড়াতে হবে।

“প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপনাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকলে খোঁজ-খবর নিতে হবে, অসুস্থ কি না? তাহলে কেন?”

বৃহত্তর রংপুরের মানুষ আর দুর্ভিক্ষ ও মঙ্গায় কষ্ট পাবে না- এমন আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম কুড়িগ্রাম ও বৃহত্তর রংপুরের মানুষকে যেন আর মঙ্গা শব্দ উচ্চারণ করতে না হয়, শুনতে না হয়। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম, এখন আর মঙ্গার কথা শুনতে হয় না।”

ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি কিংবা বিএনপি-জামায়াত যখনই ক্ষমতায় ছিল, সীমানা নিয়ে কোনো কথা বলে নাই এবং ছিটমহলগুলির কথা তারা কখনো উচ্চারণই করে নাই।
“করে নাই মানে সাহসও করে নাই। কেননা শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য যারা ক্ষমতা দখল করে তারা কীভাবে সাহস পাবে!”

“তাদের চরিত্রটা কি? বিরোধী দলে গেলে ভারতবিরোধী আর ক্ষমতায় গেলে ভারতপন্থী। নইলে খালেদা জিয়া যখন ভারতে গেল তখন গঙ্গার ন্যায্য হিস্যা আদায়ের কথা তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন। আমি ক্ষমতা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে আসি,” বলেন শেখ হাসিনা।

বাংলা৭১নিউজ/আরএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com