শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

দফতরির কানের পর্দা ফাটিয়ে টাকা নিলেন এসআই

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৯
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে এক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশপ্রহরীকে নির্যাতন করে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাতে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত এসআই জামিরুল ইসলাম সদর মডেল থানায় কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় সোমবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত দফতরি মো. উবায়দুল্লা। তিনি খাকচাইল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে এসআই জামিরুলের নেতৃত্বে সদর মডেল থানার ছয় পুলিশ সদস্য খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানে তারা বিদ্যালয়ের দফতরি উবায়দুল্লার কক্ষের দরজায় টোকা দেন। দরজা খোলার পর এখানে বশির নামে কেউ আছে কি-না জানতে চান। এ নামে কেউ নেই বলার পরও তারা উবায়দুল্লার পকেটে হাত দেন। পকেট হাতিয়ে কিছু না পেয়ে আবার বলেন বাচ্চু নামে কেউ আছেন কি-না। এরপর উবায়দুল্লাকে স্কুলের সব শ্রেণি কক্ষের দরজা খুলতে বলেন এসআই জামিরুল।

পরে আবার তারা উবায়দুল্লার পকেট চেক করার নামে কয়েকটি ইয়াবা ট্যাবলট ঢুকিয়ে দেন। এরপরই জামিরুল তাকে বলেন- ‘তুই ইয়াবা ব্যবসা করছ, আর কোথায় কোথায় ইয়াবা আছে বল।’ এসব বলার পরই উবায়দুল্লাকে বেদম পেটাতে থাকেন জামিরুল ও অন্য পুলিশ সদস্যরা। দুই কানে এবং মাথায় এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা হয় উবায়দুল্লাকে। এতে তার কানের পর্দা ফেটে যায়। পরে খবর পেয়ে উবায়দুল্লার বাবা নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসলে তাকে আটক করে সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেন জামিরুল।

এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তালেব আসার পর দুই হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে উবায়দুল্লা ও তার বাবাকে ছাড়া হয়। তবে এ ঘটনা সম্পর্কে কাউকে জানালে মাদক মামলা ফাঁসানোরও হুমকি দিয়ে যান জামিরুল। ঘটনার পরদিন রোববার উবায়দুল্লাকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো হয়।

তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন এসআই জামিরুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে এসআই জামিরুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com