মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

টানা বর্ষণে পাঁচ শতাংশ রোহিঙ্গা পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ২০১৭ সালে রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে গত এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে। আট দিনব্যাপী চলমান বৃষ্টি ও ঝড়ে এখন পর্যন্ত দশ লাখ শরণার্থীর আনুমানিক পাঁচ শতাংশ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীদের সাময়িক স্থানান্তর, আবাসন মেরামত এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে অবিরাম কাজ করে চলেছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো।

আজ (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই-কমিশন (ইউএনএইচসিআর) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) এক যৌথ বিবৃতিতে এসব জানানো হয়। বিষয়টি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) জনসংযোগ কর্মকর্তা তারেক মাহমুদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৪ জুলাই থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে কক্সবাজারে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১০৪০ মিলিমিটার। এর মধ্যে, কুতুপালং শরণার্থী আবাসনের বিভিন্ন অংশে প্রায় ৭০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভূমিধস, বন্যা এবং দমকা বাতাসে শত-শত স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিনষ্ট হওয়ায় হাজার-হাজার শরণার্থী সাময়িকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সর্বমোট প্রায় দশ লাখ শরণার্থীর আনুমানিক ৫ শতাংশ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে এটি মোট জনসংখ্যার একটি ছোট অংশ মনে হলেও, ইতোমধ্যে সহায়-সম্বলহীন হয়ে যাওয়া শরণার্থীদের ওপর এর গুরুতর প্রভাব পড়েছে।

আইওএম-বাংলাদেশের ডেপুটি হেড অব মিশন ম্যানুয়েল মার্কেজ পেরেইরা বলেন, ‘চলমান ঝড়-বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা স্তিমিত হয়ে এসেছে বলে মনে হলেও, আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা ২০১৯ সালের বর্ষা মৌসুমের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছি এবং এ বছরের প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবেলায় নিয়োজিত সম্পদ ইতোমধ্যেই ২০১৮ সালের ব্যয়কে অতিক্রম করেছে। এ বছরের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ পূরণ হয়েছে। ফলে, রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ত্রাণকার্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও দৃঢ় আর্থিক ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন।’

ইউএনএইচসিআরের হেড অব অপারেশন অ্যান্ড সাব অফিস ইন কক্সবাজার, মারিন ডিন কাজদোমকাজ বলেন, ‘২০১৮ সালে জরুরি ত্রাণ ব্যবস্থাপনার ভিত্তি ও অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য হবে প্রশিক্ষিত শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবকদের নিজস্ব দক্ষতা, আত্ম-নির্ভরশীলতা, সচেতনতা বৃদ্ধির সক্ষমতাকে কেন্দ্রে রেখে তাদের প্রথম সংবেদনে নিয়োজিত হতে সহায়তা করা।’

ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের প্রতিনিধি রিচার্ড রেগান এ বছরের বর্ষা মৌসুমের প্রভাবের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘২০১৮ সালের পুরো জুলাই মাসে আমরা যেই খাদ্য-সহযোগিতা প্রদান করেছিলাম এই বছর এর মধ্যেই তার চেয়ে বেশ অধিক মাত্রায় তা করেছি।’

বাংলা৭১নিউজ/আর এস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com