সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

কুয়েত ছাড়ার আতঙ্কে আড়াই লাখের বেশি বাংলাদেশি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: কুয়েত সরকার তার দেশ থেকে অভিবাসীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে একটি প্রবাসী কোটা বিল প্রণয়ন করেছে। এতে কুয়েত ছাড়ার আতঙ্কে রয়েছেন আড়াই লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি।

বিবিসি বাংলা জানায়, ওই খসড়া আইনে বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য মাত্র ৩ ভাগ কোটা প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনটি পাস হলে দেশটিতে অবস্থানরত আড়াই লাখের বেশি অভিবাসীকে ফেরত আসতে হতে পারে।

সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, কুয়েতে মোট জনসংখ্যা ৪৩ লাখ, এরমধ্যে ৩০ লাখ অভিবাসী। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৭০ ভাগই অভিবাসী।

জনসংখ্যার ভারসাম্য আনতে দেশটির সরকার সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে অভিবাসীর সংখ্যা পর্যায়ক্রমে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনতে।

এ লক্ষ্যে কুয়েতের পার্লামেন্টের একটি কমিটি সম্প্রতি এ সংক্রান্ত খসড়া কোটা বিল অনুমোদন করে। সেখানে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের বিভিন্ন কোটায় ভাগ করে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

কোটা অনুযায়ী কুয়েত সরকার যদি মাত্র ৩ ভাগ বাংলাদেশি অভিবাসীকে জায়গা দেয় তাহলে আড়াই লাখেরও বেশি অভিবাসীকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে।

কুয়েতি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচার হতে দেখেছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম।

বিলটি আইনে পরিণত হওয়া নিয়ে বেশ আতঙ্কে আছেন সেখানে অবস্থানরত প্রবাসীরা। শাহ করিম নামের একজন বলেন, ‘কুয়েতে চাকরির বেতন, কাজের পরিবেশ খুব ভালো। আমার টাকার ওপর পুরো পরিবার চলে। এখন যদি চলে আসতে হয়, আমার পরিবার কিভাবে চলবে?’

এক হিসেব অনুযায়ী কুয়েতে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া তাদের সবাই বিভিন্ন অদক্ষ বা স্বল্প-দক্ষ পেশায় নিয়োজিত।

বিশেষ করে, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নির্মাণ শ্রমিক, গাড়ি চালনা, হোটেল বয় ইত্যাদি পেশায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেশি দেখা যায়।

এসব অভিবাসী ছাড়া কুয়েত সরকার চলতে পারবে না উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত কালাম বলেন, ‘কুয়েত চাইছে- সরকারি চাকরি, ডাক্তার, নার্স, প্রকৌশলী, ইত্যাদি দক্ষ কর্মসংস্থানের জায়গাগুলোয় তাদের দেশের নাগরিকদের বসাতে। কিন্তু পরিচ্ছন্নতার কাজ, নির্মাণের কাজ, গাড়ি চালানোর কাজ, দোকানের কর্মচারীর কাজ তো কুয়েতিরা করবে না। এসব অভিবাসী পাঠিয়ে দিলে তাদের চলবে কিভাবে?’

তার মতে, দেশটিতে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় কট্টরবাদী বিরোধীরা অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারকে চাপে দিচ্ছে।

কালাম জানান, কুয়েতের সরকার নীতিগতভাবে অভিবাসী কমানোর বিষয়ে সম্মত হলেও দেশটিতে কী পরিমাণ অভিবাসী দরকার সেই সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন পার্লামেন্টের কমিটি এখনো প্রস্তুত করতে পারেনি।

সেই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করবে আদৌ কতো সংখ্যক অভিবাসী থাকবেন। সব মিলিয়ে পুরো বিষয়টি আরও সংশোধনের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি আশা করছেন।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে আসছে কুয়েত। তখন থেকে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের একটি বড় অংশ আসে কুয়েত থেকেই।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে এই কুয়েত থেকে প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আয় হয়েছে।

এখন এই দেশটি এতো বিপুল সংখ্যক শ্রমিক পাঠিয়ে দিলে রেমিট্যান্স আয়ের ওপর বড় ধরণের চাপ সৃষ্টি হবে।

এদিকে কুয়েতে এখন থেকেই নতুন করে আর কোনো বিদেশিদের কাজ দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে সম্প্রতি কুয়েতে নতুন ভিসায় আসা বাংলাদেশের অন্তত ১৭০০ কর্মী অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।

যাদের কুয়েতে এসে কাজ করার প্রক্রিয়া চলছিল, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। যারা এখন কাজ করছেন তাদের অনেকের কাজের মেয়াদ নবায়ন করা হয়নি।

আবার ছুটি কাটাতে যারা কুয়েত থেকে দেশে এসেছেন, তারা কবে ফিরতে পারবেন কিংবা কাজ আদৌ ফিরে পাবেন কিনা, সেটা নিয়েও সন্দেহ দানা বেঁধেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com