শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

কবরের আজাব দেখা যায় না কেন?

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ২৩৮৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: কবরের আজাব সত্য। এ বিষয়ে কোরআন ও হাদিসে বিস্তারিত দলিল-প্রমাণ রয়েছে। কবরের জীবন মূলত বরজখি জীবন। আর বরজখ হচ্ছে দুই জীবন—অর্থাৎ দুনিয়া ও আখেরাতের মাঝে ব্যবধান সৃষ্টিকারী। বরজখ হচ্ছে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত সময়। চাই মৃতদেহ দাফন করা হোক, জ্বালানো হোক, পানিতে ডুবে যাক, কোনো প্রাণী মৃতদেহ খেয়ে ফেলুক অথবা অন্য কিছু হোক। এ সবই কবরের জীবনের অংশ।

কোনো ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন সে বরজখে প্রবেশ করে এবং পুনরুত্থান পর্যন্ত সেখানে থাকবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘এরপর যখন তাদের কারো মৃত্যু আসবে, তখন সে বলবে, হে আমার রব! আমাকে ফিরিয়ে দাও। যাতে আমি যেগুলো রেখে এসেছি, সেগুলোর ব্যাপারে নেক আমল করতে পারি। কখনো নয়। এটি একটি কথার কথা, সে তা বলবে। আর মানুষের পশ্চাতে রয়েছে বরজখ—পুনরুত্থান পর্যন্ত।’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ৯৯-১০০)

কবরের আগুন ও দুনিয়ার আগুন এক নয়। যেভাবে দুনিয়ার ফলমূল ও শাকসবজি এবং পরকালের ফলমূল ও শাকসবজি এক নয়। আসলে এর সঙ্গে অদৃশ্যের ওপর ঈমান আনার বিষয়টি জড়িত। সেটি কবরের জগৎ দুনিয়ার জগতের চেয়ে ভিন্ন। সেখানে দুই ব্যক্তিকে পাশাপাশি দাফন করা হলে তাদের আমল যদি ভিন্ন ভিন্ন হয়, তাহলে তাদের একজন দোজখের উত্তপ্ততায় পৌঁছবে না; বরং এ ব্যক্তি জান্নাতের বাগানে থাকবে। অন্যদিকে তার পাশের জাহান্নামি ব্যক্তির কাছে এ জান্নাতের আরাম ও শান্তির কোনো অংশই পৌঁছবে না। এটাও আল্লাহ তাআলার মহা কুদরতের নিদর্শন। আল্লাহ তাআলা সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।

মহান আল্লাহ মানুষকে এমন এমন শৈলী শিক্ষা দিয়েছেন যে তিনি একটি বস্তুকে ময়দানে রেখে এর ওপর কিছু মানুষকে অবহিত করেন এবং দেখান এবং কিছু মানুষকে নজরবন্দি করে দেন। আল্লাহ তাআলা তো সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও ক্ষমতাবান। এ বিষয়টি আগেই কিভাবে অসম্ভব ও কঠিন হতে পারে?

মূল কথা হলো, কবর জগেক দুনিয়ার জগতের সঙ্গে তুলনা করা একেবারেই মূর্খতা ও ভ্রষ্টতা।

কেননা দুটি জগৎ ভিন্ন। ইহজগতের চোখ দিয়ে পরকালের বস্তু দেখা কিছুতেই সম্ভব নয়।

প্রশ্ন হলো, কিয়ামতের দিবসে কেউ চূড়ান্তভাবে পাপী হিসেবে প্রমাণিত হওয়ার আগে কাউকে শাস্তি দেওয়া কি ইনসাফবিরোধী নয়? এ ধরনের প্রশ্ন আধুনিক শিক্ষিত ভাইয়েরা করে থাকেন। এর জবাব হলো, এটি ইনসাফবিরোধী নয়। বিষয়টি এমন—দুনিয়ায় জীবনে দেখা যায়, কোনো ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হলে আদালত কর্তৃক তার চূড়ান্ত রায় হওয়ার আগে তাকে কারাগারে থাকতে হয়। সেখানে জেলখানার কষ্ট তাকেও ভোগ করতে হয়। এটাকে ন্যায়বিচার পরিপন্থী ধরা হয় না। ঠিক তেমনি যে ব্যক্তি পাপী ও অবিশ্বাসী হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে, সে পাপী ও অবিশ্বাসী অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়েছে। কিয়ামতের চূড়ান্ত বিচারের আগে তাকেও ‘বরজখি জেলখানা’য় থাকতে হবে। এটা ন্যায়বিচার পরিপন্থী নয়। বরং ন্যায়বিচারের সহায়ক।

বাংলা৭১নিউজ/এইচএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com