মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

এনএসআইয়ের সাবেক ডিজির ৪ দেশে অর্থপাচার ও সম্পদের পাহাড়

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

লন্ডন, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও তুরস্কে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন এবং দেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি টি এম জোবায়ের।

তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি কমিশন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানিয়েছে।

জোবায়েরের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ছাড়াও মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে।

দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়, টি এম জোবায়ের ঢাকার গুলশান-২ এলাকায় বিশাল একটি বাড়ি গণপূর্তের মাধ্যমে তার আত্মীয়ের নামে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দখল করেছেন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এ বাড়িটি দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে এনএসআইয়ের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

সাবেক এই গোয়েন্দা প্রধান অবৈধ টাকায় রাজধানীর অভিজাত পাড়ায় একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রংপুর এবং ভোলায় বিস্তৃত ফসলি জমি, মাদারীপুরে অঢেল সম্পদ গড়েছেন। গাজীপুরের শ্রীপুরে রিসোর্ট, সদরে বহুতল বাড়ি, গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে আলিশান বাড়ি। এছাড়া অন্তত চারটি দেশে অর্থ পাচার এবং স্ত্রী ও ভায়রার নামে লন্ডন, তুরস্কে একাধিক বাড়ি গড়েছেন। অঢেল সম্পদ গড়েছেন শ্বশুরবাড়ি এলাকায়ও।

জানা যায়, দেশের শীর্ষস্থানীয় ওই গোয়েন্দা সংস্থাটি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত হয়। আওয়ামী লীগ আমলে জাতীয় নিরাপত্তার চেয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার কাজেই এই সংস্থাকে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে শুরু করে দলীয় পদপদবি বণ্টনের ক্ষেত্রেও তথ্য সংগ্রহে এই সংস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে তাদের রিপোর্টের ওপর বিভিন্ন পর্যায়ে দলীয় মনোনয়ন নির্ভরশীল ছিল। এ কারণে সংস্থার প্রধান হিসেবে প্রচণ্ড প্রভাবশালী ছিলেন জোবায়ের।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় গোয়েন্দা প্রতিবেদনের নামে বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া নির্বাচনী তহবিলের নামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদাবাজি করেন। একই কাজ করেন ২০২৪-এর জাতীয় নির্বাচনের সময়ও। দুটি নির্বাচনের আগে জোবায়ের কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থার অফিসের আসবাবপত্র কেনার জন্য প্রতি বছর সরকারের বরাদ্দ কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন।

সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের বহুতল ভবন নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেন মোটা অঙ্কের কমিশন। ২০২১ সালে একটি আবাসন কোম্পানির এমডির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নেন। এছাড়াও নিয়মিত মাসোয়ারা নিয়ে ওয়াসার এমডি তাকসিমসহ দেশের বিভিন্ন সমালোচিত ব্যক্তির গদি টিকিয়ে রাখতে নিয়মিত সুপারিশ করতেন প্রধানমন্ত্রীর দরবারে।

২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনএম নামে রাজনৈতিক দল তৈরির পেছনে কলকাঠি নেড়ে সরকারের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়া বিএনপিকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার মিশন নিয়েও সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের তহবিল নিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার এই প্রধান।

জানা গেছে, জুবায়ের দায়িত্বে থাকাকালে সংস্থাটিতে তিনবার জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২০, ২০২২ ও ২০২৩ সালের সেসব নিয়োগে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতান জোবায়ের। কোনো ধরনের নিয়মকানুন না মেনে নিজের চাচাতো ভাই জহিরের সুপারিশে জনপ্রতি ২০ লাখ টাকা করে নিয়ে অন্তত ৫০ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। জোবায়েরের ভায়রা কাইয়ুম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেও জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে গাজীপুরের শ্রীপুরে রিসোর্ট ও সদরে বহুতল ভবন, ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরে নিজের ও বোনের নামে ফ্ল্যাট, সেগুনবাগিচা ও ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট, রাজলক্ষ্মী মার্কেটে একাধিক দোকান, পূর্বাচল ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় প্লট রয়েছে।

অন্যদিকে, টি এম জোবায়েরের মালিকানায় ঢাকার সাভার ডিওএইচএসে ১০ তলা বাড়ি ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় তার গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছে দুদক। এছাড়া তিনি লন্ডন, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও তুরস্কে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। তিনি লন্ডনের বেক্সলি এলাকার হেথ কর্ফট ওয়াসান্ট সড়কের ৭ নম্বর বাড়িটি ২৯ লাখ ৪৫ হাজার পাউন্ড (প্রায় ৩৫ কোটি টাকা) মূল্য কিনেছেন।

টিএম জোবায়েরকে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এনএসআইয়ের মহাপরিচালক হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ দেয় সরকার। প্রায় ৬ বছর এ পদে দায়িত্ব পালন শেষে গত ৩১ মার্চের এক আদেশে তাকে মাতৃ সংস্থা সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সম্প্রতি তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান।

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com