মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

উদ্বৃত্ত ধানের দেশ রংপুরে চাল আসে দক্ষিণাঞ্চল থেকে

রংপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

উদ্বৃত্ত ধানের দেশে চাল আসে দক্ষিণাঞ্চল থেকে। চলতি মৌসুমে রংপুর বিভাগে প্রায় ৫৫ লাখ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছরের রংপুর বিভাগের প্রায় দেড় কোটি মানুষের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২৭ লাখ মেট্রিক টন আমন, আউশ ও বোরো উদ্বৃত্ত হলেও চালের দাম কমছে না। 

প্রতিটি ফসল ওঠার মৌসুমে একটি সিন্ডিকেট মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের থেকে কমদামে খাদ্য শস্য ক্রয় করে মজুদের পাহাড় গড়ে মুনাফা লুটছে। মজুদ বিরোধী অভিযানের ঘোষণা থাকলেও তা কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। ধান উৎপাদনে উদ্বৃত্ত অঞ্চল হলে রংপুরের বিভাগের মানুষকে চাল কিনে খেতে হচ্ছে কুষ্টিয়া যশোরসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্য জেলাগুলো থেকে। কারণ অটো রাইস মিলের ৮০ শতাংশই ওই অঞ্চলে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, রংপুর অঞ্চলে আবাদযোগ্য জমি রয়েছে প্রায় ১৩ লাখ হেক্টর। রংপুর বিভাগের মোট জনসংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এর মধ্যে ১১ শতাংশ রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধ এবং খাদ্য গ্রহণে অনুপোযোগি। এই ১১ শতাংশ বাদ দিলে খাদ্য গ্রহণকারী জনসংখ্যা হচ্ছে এক কোটির কিছু ওপরে।

একজন মানুষ প্রতি দিন গড়ে ৫৫৩ দশমিক ০৬ গ্রাম খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন। সেই হিসেবে রংপুর অঞ্চলের খাদ্য চাহিদা হচ্ছে ২৮ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। ফসল উৎপাদন হয়েছে ৫৫ লাখ মেট্রিক টনের ওপরে। মোট উৎপাদন থেকে চাহিদা বাদ দিলে দেখা যায় এক বছরের রংপুর অঞ্চলে উদ্বৃত্ত থাকছে ২৭ লাখ মেট্রিক টন। এই উদ্বৃত্ত ধানের উল্লেখযোগ্য অংশ দক্ষিণাঞ্চলে চলে যায়। সেখান থেকে চাল হয়ে আবার রংপুরেই ফিরে আসে। 

কৃষিবিদদের মতে এ দেশের কৃষিভিক্তিক অর্থনীতিতে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও ফসল ওঠার শুরুতেই এক শ্রেণির মধ্যস্বত্ব ভোগী গ্রামগঞ্জের হাটবাজারে নেমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে এর কোন সুফল মিলছে না।

প্রতিটি ধানের মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলে আটো রাইস মিল মালিকরা রংপুর থেকে ধান কিনে মজুদের পাহাড় গড়ে তোলে। এরা মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে সাধারণ মানুষকে বেশি দামে চাল ক্রয় করে খেতে হচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে গ্রামগঞ্জের হাটবাজারে প্রতিমণ ধান প্রকার ভেদে এক হাজার ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চাল প্রকার ভেদে ৫৫ টাকা থেকে ৭৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
 
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকরা শুধু ধান চালেই উদ্বৃত্ত নয়। তারা চাহিদার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ শাকসবজি উৎপাদন করে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com