মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

ইতিহাসের বড় বাজেট পাস হচ্ছে আজ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ৩০ জুন, ২০১৯
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেট পেশের পর এবার সবার চোখ ছিল অর্থ বিল পাসের দিন কী হয়। কারণ প্রস্তাবিত বাজেটে যত পরিবর্তন এ দিনই হয়। তবে এবার বড় কোনো পরিবর্তন বা চমক ছাড়াই পাস হয়েছে অর্থ বিল। আর এতে সবচেয়ে বেশি আশাহত হয়েছে মধ্যবিত্তরা। সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব হয়েছিল। তুমুল আলোচনার মধ্যেও তা বহালই রাখা হলো।

অর্থবিল পাসের পরও সুযোগ থাকে। আজ বাজেট পাস হবে। এখন ভরসাস্থল প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দিকে সবাই তাকিয়ে। কারণ শেষ দিন প্রধানমন্ত্রীর চমক বলে একটা কথা আছে। অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে সমালোচিত দিক সঞ্চয়পত্রের বর্ধিত উৎসে কর প্রত্যাহার করা উচিত। আর তা করতে পারেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এবং অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সঞ্চয়পত্রে বর্ধিত উৎসে কর না কমানোয় সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সরকার সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর বাড়িয়ে গরিবদের সঙ্গে প্রহসন করেছে। কারণ সঞ্চয়পত্র সবার জন্য নয়।

এখানে মধ্যবিত্ত ও গরিবরাই বিনিয়োগ করে। উৎসে কর বাড়িয়ে সুদের হার এক প্রকার কমানো হয়েছে। এটা করে গরিবদের বোকা বানানো হয়েছে। এর কোনো দরকারই ছিল না। বাজেট এখনো পাস হয়নি। এখনো পরিবর্তনের সুযোগ আছে। সে সময়ে অন্তত এটি পরিবর্তন করা উচিত।

তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্র ও বিদ্যুৎ বিলে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তেরও কোনো দরকার ছিল না। কারণ টিআইএন সবার থাকে না। বিত্তবান ও মধ্যবিত্তদের থাকে। গরিবদের থাকে না। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। তাই সঞ্চয়পত্র ও বিদ্যুৎ বিল দুই ক্ষেত্রেই টিআইএনের পরিবর্তে এনআইডি বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, সঞ্চয়পত্রের ওপর বর্ধিত উৎসে কর বহাল থাকার ফলে চাকরিজীবী নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের ওপর চাপ বাড়ল। পেনশনাররা যাঁরা সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীল তাঁরা আরো বেকায়দায় পড়লেন। এ সিদ্ধান্ত ঠিক হলো না। যে কারণে এ সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হচ্ছে অর্থাৎ সঞ্চয়পত্র কেনা কমিয়ে আনা—এটি অন্যভাবেও করা যায়।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক ডিজি তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাজেট পাসের আগে এখনো অনেক কিছু পরিবর্তনের সুযোগ আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছা করলেই সেটা পারেন। বিশেষ করে মধ্যবিত্তদের অন্যতম ভরসাস্থল সঞ্চয়পত্রে অযাচিত হস্তক্ষেপের কোনো দরকার ছিল না। যাঁরা অবসরে আছেন এ হস্তক্ষেপে তাঁদের অনেক সমস্যা হবে। অনেক মন্ত্রীই সঞ্চয়পত্রের বর্ধিত উৎসে কর চান না। তা ছাড়া সঞ্চয়পত্র তো সবার জন্য নয়। এখানে যাতে ধনীরা বিনিয়োগ না করতে পারে সে জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে টিআইএন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগে টিআইএন বাধ্যতামূলক ঠিক আছে। অনেকেই কর দেয় না।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com