তিস্তা নদীর নাব্যতা ধরে রাখার জন্য তিস্তা নদীর পলি নিষ্কাশনের (ড্রেজিং) কাজ করার পরিকল্পনা করছে পশ্চিমবঙ্গের সরকারের সেচ দপ্তর। তিস্তা নদীর পাশাপাশি জলপাইগুড়ি করলা নদী, ধরধরা নদী খননেরও পরিকল্পনা করেছে সেচ দপ্তর।
বারবার ভুটান ও সিকিমে অতি ভারী বৃষ্টির কারনে সমতলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যায়। ফলে সমতলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে।
তিস্তা নদী ড্রেজিং করিয়ে পানির গভীরতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তর। যার ফলে তিস্তা নদীর পানি ধরে রাখার ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যাবে।
এই খননের কাজ করবে রাজ্য সরকারের এমডিটিসিএল(মিনারেল ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড)। এর পাশাপাশি করলা নদী, ধরধরা নদী,গদাধর খাল খননের প্রস্তাবও জমা পড়েছে সেচ দপ্তরে।
পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি রাজ্য সিকিম থেকে নেমে আসা এই খরস্রোতা তিস্তা নদীতে পলি, বালি ও পাথর জমে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় সমতলের একাধিক জায়গায় তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। এর ফলে তিস্তার পানি ধরে রাখার ক্ষমতা কমে গিয়ে বন্যার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। খননের কাজ সম্পূর্ণ হলে তিস্তার পানি ধরে রাখার ক্ষমতা আরও বেড়ে যাবে। এর ফলে বন্যার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে নদী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সমীক্ষার পর তিস্তাসহ কয়েকটি নদীর নাব্যতা বাড়াতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনার রিপোর্ট জমা করে রাজ্য সেচ দপ্তর। যার অনুমোদনের পর তিস্তা নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হতে চলেছে বর্ষার পরেই।
ভুটানে ভারী বৃষ্টি ও সিকিমে বিপর্যয়ের সময় পলি, বালি, পাথরের আস্তরণে গভীরতা কমে গিয়েছিল খরস্রোতা তিস্তার। পলি তোলা হলে সেসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। নদীকে পুরোনো গতিপথে ফিরিয়ে আনা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ
উপদেষ্টা সম্পাদক : সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, প্রধান সম্পাদকঃ তাজিন মাহমুদ, সম্পাদক: ডা: সাদিয়া হোসেন, যোগাযোগঃ ৪/এ,ইন্দিরা রোড, মাহবুব প্লাজা (২য় তলা) ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ ।মোবাইল: ০১৯৭১-১৯৩৯৩৪, ০১৫৫২-৩১৮৩৩৯, ই-মেইল: [email protected]; [email protected]। ওয়েব:www.bangla71news.com
© All rights reserved © 2018-2025