সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। চলছে পশু কোরবানির কার্যক্রম। এর মাঝে স্বস্তির বৃষ্টি রাজধানীতে। গত সপ্তাহ থেকে টানা কয়েকদিনের গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল সাধারণ মানুষের। সেই অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে বৃষ্টির কারণে। তবে কোরবানির মাংস কাটায় কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শনিবার (৭ জুন) সকালে ঈদের নামাজ শেষে শুরু হয় পশু কোরবানির কাজ। রাজধানীতে রাস্তার উপরে, কেউ বাড়ির সামনে, কেউ গলিতে কোরবানির মাংস কাটার কাজ করছেন। বৃষ্টির কারণে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে এতে।
শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। তবে বায়তুল মুকাররম মসজিদসহ রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের মসজিদে সকাল সাতটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের নামাজ আদায় করেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরবানি দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঢাকায় কোরবানির নির্ধারিত স্থান না থাকায় যে যেখানে খুশি পশু কোরবানি দিচ্ছেন। কোরবানির পশু মাংস কাটাকাটির মধ্যেই দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীতে বৃষ্টির দেখা মিলে।
বৃষ্টি আসায় স্বস্তি প্রকাশ করে রামপুরার বাসিন্দা মোহাম্মদ মামুন হোসেন বলেন, এটি আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি। বৃষ্টি না আসলে কিছুক্ষণের মধ্যে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে যেত। সব মহল্লার রাস্তায় রক্ত আর রক্ত। কোরবানিদাতারা কোনরকমে সে রক্তের উপরে পানি ছিটিয়ে রেখেছেন। এই বৃষ্টি না আসলে এই রক্ত পরিষ্কার হওয়া কঠিন হতো।
একই ধরনের কথা বলেন, রামপুরার আরেক বাসিন্দা সলিমুল্লাহ। তিনি বলেন, ঢাকার মানুষকে সব সময় রাস্তার উপরেই কোরবানি দিতে হয়। কোরবানির পশুর রক্ত যাদের ড্রেনে চলে যায় এজন্য বাসা বাড়ির পানি রক্তের উপর ঢালা হয়। কিন্তু যে পরিমাণ পানি ঢাললে রক্ত পুরোপুরি পরিষ্কার হবে বাসা বাড়ি থেকে সেই পরিমাণ পানি দেওয়া সম্ভব না। বৃষ্টির পানিতেই রক্ত পুরোপুরি পরিষ্কার হওয়া সম্ভব। তাই এই বৃষ্টি আমাদের জন্য স্বস্তি হয়ে এসেছে।
তবে রাস্তার উপর মাংস কাটাকাটির কাজ করা আরেক কোরবানিদাতা মো. মোহাইমিনুল বলেন, বৃষ্টিটা আর একটু পরে আসলে ভালো হতো। আমাদের মাংস কাটাকাটি এখনো শেষ হয়নি। হঠাৎ বৃষ্টি আসায় মাংস আর কাটা সম্ভব হচ্ছে না। রাস্তায় এতো মাংস ফেলে রাখা সম্ভব না। এখন এই মাংস রাস্তা থেকে টেনে নিয়ে গ্যারেজে যেতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
বাড্ডায় কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা মাদরাসা শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, বৃষ্টিটা এমন সময় আসলো যখন আমরা চামড়া নিয়ে মাদরাসার দিকে যাচ্ছি। বৃষ্টির পানিতে আমরা সবাই ভিজে একাকার। কষ্ট অনেক বেড়ে গেলো আমাদের। বৃষ্টিটা আর ঘণ্টা দুয়েক পরে আসলে আমরা সব কাজ গুছিয়ে নিতে পারতাম। তখন আর এই দুর্ভোগে পড়তে হতো না।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ
উপদেষ্টা সম্পাদক : সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, প্রধান সম্পাদকঃ তাজিন মাহমুদ, সম্পাদক: ডা: সাদিয়া হোসেন, যোগাযোগঃ ৪/এ,ইন্দিরা রোড, মাহবুব প্লাজা (২য় তলা) ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ ।মোবাইল: ০১৯৭১-১৯৩৯৩৪, ০১৫৫২-৩১৮৩৩৯, ই-মেইল: [email protected]; [email protected]। ওয়েব:www.bangla71news.com
© All rights reserved © 2018-2025