৭০ শতাংশ আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জে আহত হয়ে অন্তত ৩৭ জন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার সময় কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক।
পরে দুপুর দেড়টার দিকে আহতদের মধ্যে ৩৭ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
আহতরা হলেন, মো. রেদোওয়ান (২৪), আসিফ (২০), রহমান (২২), আকিব (২১), আরিফ (২২), রফিক (২৫), শফিক (২৫), ওমর ফারুক (২৪), মেহেদী (২৪), অর্থিব (২১), আপেল (২১), মুজাহিদ (২৩), রায়হান (২৩), ফারুক (২৩), আবু বক্কর (২২), নিউটন (২০), হানিফ (২২), জীবন (২২), মো. শহীদ (২০), মো. রাসেল (২২), জিসান (২২), মো. মাহাতাব (২৩), শহীদ (২৪), রাসেল (২৩), গৌরব (২৫), আব্দুল মান্নান (২২), নাহিদ (২৩), জুয়েল (২৩), মোহন (২২), সোহানুর রহমান সানি (২৪), মোছা. মাছুমা (২০), সংগ্রাম (২০), বাইতুল (২২), রাজু (২২), সুমন (২২), রাজীব (২২) ও আকাশ (২২)।
আহত জবি শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, আমরা তিন দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাচ্ছিলাম। কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই পুলিশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করে। এতে আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৩৭ জনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। তারা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
বাংলা৭১নিউজ/এআরকে
উপদেষ্টা সম্পাদক : সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, প্রধান সম্পাদকঃ তাজিন মাহমুদ, সম্পাদক: ডা: সাদিয়া হোসেন, যোগাযোগঃ ৪/এ,ইন্দিরা রোড, মাহবুব প্লাজা (২য় তলা) ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ ।মোবাইল: ০১৯৭১-১৯৩৯৩৪, ০১৫৫২-৩১৮৩৩৯, ই-মেইল: [email protected]; [email protected]। ওয়েব:www.bangla71news.com
© All rights reserved © 2018-2025