ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শনিবার আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ তাদের চার দফা প্রধান দাবি উপস্থাপন করেছে। সমাবেশে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সাফ জানিয়ে দেন, দুই মাসের মধ্যে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং আটক সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
মহাসমাবেশে মামুনুল হক বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলছি, সব মামলা প্রত্যাহার না হলে, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন পবিত্র কোরআন ও ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় শাস্তি দেখতে চাই।”
ভোর থেকেই রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। সকাল ৯টায় শুরু হওয়া সমাবেশ চলে দুপুর ১টা পেরিয়ে পর্যন্ত।
হেফাজতের মতে, দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের নেতা-কর্মীদের নামে প্রায় ৩০০টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সফর ঘিরে এবং ২০২৪ সালের বিভিন্ন সহিংস ঘটনার মামলা।
এ ছাড়াও সংগঠনের দাবির মধ্যে রয়েছে: নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল ও আলেমদের সমন্বয়ে নতুন কমিশন গঠন, সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় অবস্থান এবং বিভিন্ন সময়ের গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা বাড়ানো।
মহাসমাবেশে দলটির নায়েবে আমির মাওলানা মাহমুদুল হক ১২ দফার একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, যেখানে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের হুশিয়ারি দেয়া হয়।
সংগঠনের মহাসচিব সাজিদুর রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, “জনগণের দাবি মানুন, ইসলামবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকুন।”
এ সময় সাজিদুর রহমান নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের বিভাগীয় সম্মেলন এবং ২৩ মে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ
উপদেষ্টা সম্পাদক : সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, প্রধান সম্পাদকঃ তাজিন মাহমুদ, সম্পাদক: ডা: সাদিয়া হোসেন, যোগাযোগঃ ৪/এ,ইন্দিরা রোড, মাহবুব প্লাজা (২য় তলা) ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ ।মোবাইল: ০১৯৭১-১৯৩৯৩৪, ০১৫৫২-৩১৮৩৩৯, ই-মেইল: [email protected]; [email protected]। ওয়েব:www.bangla71news.com
© All rights reserved © 2018-2025