মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই, আশা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত দেড় বছরে এত সাফল্য অর্জন অন্তর্বর্তী সরকারের মতো কেউ করতে পারেনি রাতে স্থায়ী কমিটির সভা শেষে বিএনপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি যত ক্ষমতাধরই হোক, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়: প্রধান উপদেষ্টা পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ আদালত ও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক আইজিপি মামুন ৩২ নম্বরে টিয়ারগ্যাস-সাউন্ড গ্রেনেড, তিন দিক থেকে ছাত্রদের মিছিল

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় দুর্নীতি হয়েছে ২১১০ কোটি টাকা: টিআইবি

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গত ১৪ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় দুই হাজার ১১০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি বলছে, ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ে মোট ৮৯১টি প্রকল্পে সংঘটিত দুর্নীতির প্রাক্কলিত পরিমাণ ২৪৮.৪ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২ হাজার ১১০ কোটি টাকার বেশি। 

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রভাব, যোগসাজশ এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রকল্প অনুমোদনের প্রবণতা স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। তবু তহবিল ব্যবস্থাপক হিসেবে বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে জাতীয় তহবিলের (বিসিসিটি) কর্মকর্তারা অনিয়ম রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি। 

টিআইবি জানায়, জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশের বার্ষিক প্রয়োজন ১২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তহবিল মিলিয়ে বছরে গড়ে বরাদ্দ এসেছে মাত্র ৮৬.২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রয়োজনের মাত্র ০.৭ শতাংশ।

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় তহবিল থেকে বরাদ্দ প্রতিবছর গড়ে ৮.২ শতাংশ হারে কমেছেঅ বিপরীতে আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে বরাদ্দ ৪৩.৮ শতাংশ হারে বেড়েছে। তবে বরাদ্দের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় এখনো অত্যন্ত সীমিত।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় তহবিলের প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা ও ব্যর্থতা নিয়মিত ঘটনা। ৮৯১টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৪৯টির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। গড়ে ৬৪৮ দিনের প্রকল্প শেষ হতে লেগেছে ১,৫১৫ দিন, অর্থাৎ ১৩৩ শতাংশ সময় বৃদ্ধি। কোনো কোনো চার বছর মেয়াদি প্রকল্প শেষ হতে লেগেছে ১৪ বছর পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক তহবিলেও একই চিত্র- ৫১টি প্রকল্পের মধ্যে ২১টির মেয়াদ গড়ে ৫২ শতাংশ বেড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর জলবায়ু ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০–১২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কিন্তু ২০০৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ দেশের কাছে এসেছে মাত্র ১.২ বিলিয়ন ডলার, যা একেবারেই নগণ্য।

তিনি বলেন, জাতীয় তহবিলের ৫৪ শতাংশই দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অর্থ লুটপাট করেছে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। জবাবদিহিতা, সুশাসন ও দক্ষতার অভাবের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা চাই এই অবস্থার পরিবর্তন।

ড. ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, জলবায়ু অর্থায়নে প্রকৃত উপকারভোগীদের অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব হয়ে পড়বে।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com