দিনাজপুরের হাকিমপুরে এক নারী প্রবাসীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ ২ লাখ টাকাসহ ৩ লাখ টাকা স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে দৃর্বৃত্তরা। এ সময় বাধা দিতে গেলে প্রবাসীর ছোট ভাই ইনসাব আলী মারপিট ও তার ভাগ্নিদের শ্লীলতাহানি ঘটায়। ওই নারী প্রবাসীর ছোট বোন সুখি খাতুন ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে । পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় দৃর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে সুখি খাতুন বাদি হয়ে হাকিমপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার মধ্যবাসুদেবপুর ( মাঠপাড়া) গ্রামের মায়া বেগম হংকং প্রবাসী। গত রোববার সন্ধায় হংকং প্রবাসী মায়া বেগমের অনুপস্থিতিতে তার বাড়ির মেইন গেট ভেঙ্গে প্রবেশ করে একই এলাকার জিয়া, রুবিনা, সাব্বির, রুবেল, শিপন, মমিনুল, হাসেম, স্বাধীন, রাব্বি, হৃদয়, শাওন, হামিদা, আফরোজা,পাখি, সাবিনা, সাগর, মহাব্বত, মিজানুর, সবুজসহ আরো ১০ থেকে ১৫ জন। তারা ৪ টি ঘরের দরাজা ভেঙ্গে এলইডি টিভি, ৪ টি সিসি ক্যামেরা, ক্যামেরার মেশিন, মনিটরসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেঙ্গে ট্যাংকে রক্ষিত নগদ ২ লাখ টাকা ও ৩ লাখ টাকা মুল্যের ২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যাবার সময় মায়া বেগমের ছোট ভাই ইনসাব আলী প্রতিবাদ করলে দৃর্বৃত্তরা তাকে হত্যার উদেশ্যে বেধড়ক মারপিট করে। তাকে উদ্ধারে ইনসাব আলীর ভাগ্নি লিলিমা, নিহা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রিয়া এগিয়ে আসলে তাদের শ্লীলতাহানি ঘটায়।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সুুখি খাতুন ৯৯৯ নম্বারে ফোন দিলে হাকিমপুর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৩০ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। ইনসাবের অবস্থা গুরুত্বর তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা হাকিমপুর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে সুখি খাতুন বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে মামলা দায়ের করা হবে।
এদিকে অভিযোগের বাদি সুখি খাতুন জানান, অভিযোগ করার পর থেকে দৃর্বৃত্তরা তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
বাংরা৭১নিউজ/এসআর
উপদেষ্টা সম্পাদক : সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, প্রধান সম্পাদকঃ তাজিন মাহমুদ, সম্পাদক: ডা: সাদিয়া হোসেন, যোগাযোগঃ ৪/এ,ইন্দিরা রোড, মাহবুব প্লাজা (২য় তলা) ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ ।মোবাইল: ০১৯৭১-১৯৩৯৩৪, ০১৫৫২-৩১৮৩৩৯, ই-মেইল: [email protected]; [email protected]। ওয়েব:www.bangla71news.com
© All rights reserved © 2018-2025