দখলদারিত্ব পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
হামাস বলেছে, নেতানিয়াহুর ‘নির্ধারিত বিজয়’ এবং রাফাহ ধ্বংস করার মন্তব্য ‘গাজায় তার সেনাবাহিনীর ব্যর্থতা ঢাকতে এবং জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার একটি মরিয়া প্রচেষ্টা’।
প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে দখলদারিত্ব পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। রাফাহ দৃঢ়তার প্রতীক এবং আক্রমণকারীদের তাড়া করে বেড়ায় এমন একটি দুঃস্বপ্ন হিসেবেই থাকবে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫৩ হাজার ৩০০ জন এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
তবে বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরাইল। দ্বিতীয় দফার এ আগ্রাসনে ২০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের এক কর্মকর্তা গত সপ্তাহে এএফপিকে বলেন, ‘হামাস এক ব্যাচে বন্দী বিনিময় এবং পাঁচ বছরের জন্য যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত। ’
সশস্ত্র গোষ্ঠীটি দাবি করে আসছে, একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের মধ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসান, ইসরাইলের হামলা, গাজা থেকে ইসরাইলিদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বন্দি বিনিময় এবং উপত্যকায় তাৎক্ষণিকভাবে এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা উচিত।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ
উপদেষ্টা সম্পাদক : সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, প্রধান সম্পাদকঃ তাজিন মাহমুদ, সম্পাদক: ডা: সাদিয়া হোসেন, যোগাযোগঃ ৪/এ,ইন্দিরা রোড, মাহবুব প্লাজা (২য় তলা) ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ ।মোবাইল: ০১৯৭১-১৯৩৯৩৪, ০১৫৫২-৩১৮৩৩৯, ই-মেইল: [email protected]; [email protected]। ওয়েব:www.bangla71news.com
© All rights reserved © 2018-2025