
আগামী ১৫ থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারী কাবাডি বিশ্বকাপ। এটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন হতে যাওয়া নারী কাবাডির সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক আসর। আয়োজনকে ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি, যার বিস্তারিত জানাতে আজ (১৬ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন।
২০১২ সালে প্রথম নারী কাবাডি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হলেও, এবারের আসর অনেক বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আয়োজক বাংলাদেশ ছাড়াও এবারে অংশ নিচ্ছে: আর্জেন্টিনা, চাইনিজ তাইপে, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইরান, ভারত, জাপান, কেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড, উগান্ডা ও জাঞ্জিবার। অতিরিক্ত (স্ট্যান্ডবাই) দল হিসেবে রাখা হয়েছে পাকিস্তান ও পোল্যান্ড।
বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো হবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় ইনডোর স্টেডিয়ামে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিদেশি দলগুলোর আগমন, যাতায়াত, নিরাপত্তা ও আবাসনের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এই বিশ্বকাপের জন্য ১০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বাজেট নির্ধারণ করেছে কাবাডি ফেডারেশন। এর মধ্যে সরকার ৫ কোটি টাকা দেবে, বাকি অর্থ স্পনসর থেকে সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন,’সরকারের কাছ থেকে আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছি। সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
নারী খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে আয়োজকরা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নারীরা খেলবে, তাই বিষয়টি অনেক সংবেদনশীল। আমরা সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’
বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল বর্তমানে বিকেএসপিতে নিবিড় প্রশিক্ষণে রয়েছে। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন,’আমাদের লক্ষ্য র্যাঙ্কিংয়ে দুই বা তিন নম্বরে যাওয়া। সেই অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস