বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন

ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা
  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জন কর্মকর্তাকে ঢাকায় সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত ও একজন অবসরোত্তর ছুটিতে (এলপিআরে) থাকা কর্মকর্তা রয়েছেন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।

তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন কর্মকর্তা ঢাকায় সেনা হেফাজতে আছে। আমরা ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে আসার জন্য বলেছিলাম। তাদের মধ্যে ১৫ জন্য আমাদের সেনা হেফাজতে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, তিনটি মামলায় ২৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অবসরে আছেন ৯ জন, এলপিআর-এ একজন, আর বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৫ জন।

গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরতরা হলেন: মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, কর্নেল কে এম আজাদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, সেনাবাহিনীর কাছে কারও বিরুদ্ধে গুমের ওয়ারেন্টের কোনো কপি আসেনি। সেনাবাহিনী কোনো ওয়ারেন্ট পেপার পায়নি। এলপিআরের একজন এবং সার্ভিসে থাকা ১৫ জনসহ মোট ১৬ জনকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে এরই মধ্যে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এই সেনা কর্মকর্তা জানান, মেজর জেনারেল কবীর আত্মগোপনে গেছেন। তিনি যাতে বিদেশে চলে যেতে না পারেন, সেজন্য তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। তিনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়েছেন।

তিনি বলেন, ওয়ারেন্টভুক্তদের ২২ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ আছে, আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে এই ওয়ারেন্ট নিয়ে। কাজেই ২২ অক্টোবর এদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে আইনের ব্যাখ্যা পাওয়া সাপেক্ষে সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, গুমের শিকার হওয়া প্রতিটি পরিবারের প্রতি সেনাবাহিনী সহানূভুতিশীল। সব অপরাধের বিচারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে সেনাবাহিনী বিচার প্রক্রিয়া ও গুম কমিশনকে সহায়তা করে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত বুধবার (৮ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল এই নির্দেশ দেন। আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com