ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। এর আগে, বেলা তিনটার দিকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
ডাকসু নির্বাচনের নির্ধারিত আটটি ভোটকেন্দ্রে আজ সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। সকাল ৮টা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, তার হিসাব সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, টিএসসি ভোটকেন্দ্রে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ৩৩০০ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন, যা এই কেন্দ্রের মোট ভোটারের প্রায় ৫৮ শতাংশ। এ তথ্য জানান কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা।
তিনি বলেন, বেলা দেড়টা পর্যন্ত টিএসসির ক্যাফেটেরিয়ার কক্ষে ১২টি বুথে দুই হাজার ১০০ জন এবং ইনডোর গেমস রুমের সাতটি বুথে এক হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন।
টিএসসি কেন্দ্রে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। এই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ৫ হাজার ৬৬৫।
এই কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নাসরিন সুলতানা বলেন, মেয়েরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসছেন। এ কেন্দ্রে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ৫৮ শতাংশ মেয়ে ভোট দিয়েছেন। সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছেন।
শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা চার হাজার ৮৬১। বেলা আড়াইটা নাগাদ এই কেন্দ্রে প্রায় ৭৮ শতাংশ বা তিন হাজার ৭৮৬টি ভোট পড়েছে। এই কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন জগন্নাথ হল, জহুরুল হক হল ও এস এম হলের শিক্ষার্থীরা।
বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে জগন্নাথ হলের দুই হাজার ২২৯ ভোটের মধ্যে এক হাজার ৭২৬ (৭৭ শতাংশ), জহুরুল হক হলের এক হাজার ৯৬৩ ভোটের মধ্যে এক হাজার ৫৭৫ (৮০ শতাংশ) ও এস এম হলের ৬৬৯ ভোটের মধ্যে ৪৮৫ ভোট (৭২ শতাংশ) পড়েছে। জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল, এস এম হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুল্লাহ-আল-মামুন ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ ফারুক শাহ আলাদা করে নিজ নিজ হলের ভোট পড়ার এ তথ্য জানান।
সিনেট ভবন কেন্দ্রে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ৮২ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
সিনেট ভবনে মোট তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো হলো ডাইনিং রুম, সেমিনার রুম ও অ্যালামনাই ফ্লোর কেন্দ্র। তিনটি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা চার হাজার ৮৩৫। এর মধ্যে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে চার হাজার।
ডাইনিং রুম কেন্দ্রে বিজয় একাত্তর হলের ২ হাজার ৪৩ শিক্ষার্থী ভোটার। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এখানে এক হাজার ৮০০ ভোট পড়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম।
সেমিনার রুম হলে মুহসীন হলের এক হাজার ৪০৯ ভোটার। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এখানে এক হাজার ১০০ ভোট পড়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক শামীম আহমেদ।
অ্যালামনাই ফ্লোর কেন্দ্রে স্যার এ এফ রহমান হলের এক হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী ভোটার। এখানে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এক হাজার ১০০ ভোট পড়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
বেলা আড়াইটার দিকে সিনেট ভবনের তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিতে পারছে। এখনো সময় আছে। ভোটারও আসছে। আশা করছি, উল্লেখযোগ্য ভোট পড়বে।
বেলা তিনটার দিকে এই কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। বিকেল ৪টার পর যেসব শিক্ষার্থী লাইনে থাকবেন, তাদের ভোটও নেওয়া হবে।
উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক স্কুল কেন্দ্রে বেলা আড়াইটা নাগাদ কবি জসীমউদদীন হলের এক হাজার ৬৪ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের এক হাজার ২১২ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক হাজার ৩৫০ জন এবং সূর্যসেন হলের এক হাজার ২৭৪ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে এই সময় পর্যন্ত গড়ে ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশ। বেলা তিনটায় এসব তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ