শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৯ অপরাহ্ন

অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপে শিগগির অভিযান: ডিএনসিসি প্রশাসক এজাজ

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীতে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে শিগগির অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

তিনি বলেন, প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে ডিএনসিসি ও ডিএমপি যৌথভাবে কাজ করছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এরই মধ্যে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা করেছে। শিগগির রাতে চালিয়ে এগুলো বন্ধ করে দেবো।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন ডিএনসিসির ৬, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকায় ৭টি প্যাকেজে মোট ২০ কিলোমিটার রাস্তা, ৩৪ কিলোমিটার নর্দমা ও ১৫ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, বিভিন্ন এলাকার বাড়ির মালিক সমিতিকে অনুরোধ করবো আপনারা আপনাদের এলাকায় অবৈধ অটোরিকশা ঢুকতে দেবেন না। আপনাদের আবাসিক এলাকাগুলো যে পরিকল্পনা করে করা হয়েছে, সেই পরিকল্পনার বাইরে কিছু করতে দিয়েন না। আবাসিক এলাকায় কোনো বাণিজ্যিক কাজ করতে দেবেন না। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আপনারা স্থানীয় কমিউনিটি সোচ্চার হলে অবৈধ অটোরিকশা, অবৈধ হকার বন্ধ করা সহজ হবে।

নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, সবাইকে অনুরোধ করবো, আপনারা বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি থেকে প্লট কেনার আগে মৌজা ম্যাপ চেক করে দেখবেন জলাধার কি না। জলাধার হলে দয়া করে সেই প্লট কিনবেন না। জলাধার হলে পরে সেই প্লট পেতে ঝামেলা হবে।

তিনি আরও বলেন, সবাই একসময় ভাবতেন পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় কোনো দিন পাকা রাস্তা হবে না। এই এলাকায় শুধু গোডাউন ভাড়া দেওয়া হতো একসময়। পরিকল্পিতভাবে মাঠের জায়গা রাখা হয়নি, কোনো গাছ লাগানো হয়নি।

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ভেতর দিয়ে খাল ছিল। আমরা নাগরিক সমাজ আন্দোলন করেছি সেই খাল উদ্ধারের জন্য, মামলা পর্যন্ত করা হয়েছিল। ৭টি প্যাকেজের নির্মাণকাজ শেষ হলে এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে, জলাবদ্ধতা দূর হবে।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, এই এলাকায় যারা বসবাস করেন, সবাইকে অনুরোধ করছি আপনারা এই বর্ষায় গাছ লাগিয়ে পুরো ইস্টার্ন হাউজিং এলাকাটিকে সবুজের চাদরে নিয়ে আসুন। আমি অনুরোধ করছি ছোট গাছ না লাগিয়ে বড় গাছ লাগাবেন। পরিকল্পনা করে একটা রোডে কৃষ্ণচূড়া লাগান, আরেকটা রোডে সোনালু লাগান। এতে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com