১৯৭৪ সাল থেকে ভাত খান না মো. শামসুদ্দিন। এর কারণ দারিদ্র্য নয়, অভিমানও নয়, চিকিৎসকদের ওপর রাগ করে পেটের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ভাত খাওয়া বন্ধ করেন তিনি। গত ৫১ বছর বিভিন্ন ধরনের সবজির সঙ্গে রুটি খেয়ে তিনি সুস্থ আছেন।
শামসুদ্দিনের বয়স এখন ৮০ বছর। বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাতৈলভিটি গ্রামে। এক সময় তিনি কালিয়াকৈর বাজারে মাইকের ব্যবসা করতেন। বর্তমানে তিনি কৃষিকাজ করেন, পাশাপাশি একটি গরু, কয়েকটি ছাগল ও ৪০ জোড়া কবুতর নিয়ে ছোট্ট একটি খামার রয়েছে তার।
পরিবার জানায়, ১৯৭৪ সালে হঠাৎ পেটে ব্যথা হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন শামসুদ্দিন। তখন চিকিৎসক জানান তিনি মারা যাবেন। পরে তিনি চলে যান পরিচিত এক ব্যক্তির কাছে। তার পরামর্শ শুনে ভাতের পরিবর্তে রুটি খেতে শুরু করেন তিনি।
এরপর কিছু দিনের মধ্যে শামসুদ্দিন অনুভব করেন তার পেটের ব্যথা কমতে শুরু করেছে। ফলে যে চিকিৎসক নেতিবাচক মন্তব্য করেছিল তার উপর বিরক্ত হন শামসুদ্দিন। এরপর থেকে আর কখনো ভাত খাননি তিনি।
শামসুদ্দিনের স্ত্রী জোৎস্না খাতুন বলেন, “আমার বিয়ের কয়েক বছর পর তিনি ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেন। দুই বেলা রুটি খান। আগে ৪-৫টি করে রুটি খেতেন প্রতি বেলায়, এখন একটি করে খান। আমার কোনো অস্বস্তি লাগে না। আমি আমার জন্য ভাত রান্না করি, তার জন্য রুটি বানাই। তিনি তরকারির সঙ্গে রুটি খান।”
গ্রামের বাসিন্দা সেলিম রানা জানান, শামসুদ্দিন ভাত খান না এটা সবার জানা। তিনি রুটি খেয়ে দিব্বি ভালো আছেন। তার স্বাস্থ্য আগেও যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে।
শামসুদ্দিন বলেন, “আমার দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। তারা আমাকে এ নিয়ে কিছু বলে না। আমি যেহেতু রুটি খাই, এজন্য আত্মীয় বাড়িতে যাই না। আমি ডাক্তারদের ওপর রাগ করে ভাত খাওয়া বন্ধ করেছি। ভাত দেখলে এখন আমার বিরক্ত লাগে। রুটি খাইলে ভালো লাগে।”
বাংলা৭১নিউজ/এবি
উপদেষ্টা সম্পাদক : সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, প্রধান সম্পাদকঃ তাজিন মাহমুদ, সম্পাদক: ডা: সাদিয়া হোসেন, যোগাযোগঃ ৪/এ,ইন্দিরা রোড, মাহবুব প্লাজা (২য় তলা) ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ ।মোবাইল: ০১৯৭১-১৯৩৯৩৪, ০১৫৫২-৩১৮৩৩৯, ই-মেইল: [email protected]; [email protected]। ওয়েব:www.bangla71news.com
© All rights reserved © 2018-2025