গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪০৪ জনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এই ঘটনায় মামলার সংখ্যা দাঁড়ালে চার-এ। এবং নতুন আরো ১১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮৩ জনে।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মো. সাজেদুর রহমান, কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন, কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, টুঙ্গীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোরশেদ আলম এবং মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৌলতলী তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক(এসআই) শামিম আল মামুন বাদী হয়ে ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৩৫০ জনকে আসামী করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করে। এ নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হলো।
তিনি আরো জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় সদর থানা নতুন করে আরো ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হবে।
অপরদিকে, নতুন করে কাশিয়ানী থানায় ৩৩ জন, মুকসুদপুর থানায় ২২ জন, কোটালীপাড়া থানায় ১০ জন ও টুঙ্গিপাড়া থানায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ১৬৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ নিয়ে জেলায় গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮৩ জনে।
এর আগে সন্ত্রাস দমন আইনে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ৫৭৫ জন, কাশিয়ানী থানায় ৩৭০ জন এবং কোটালীপাড়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৬০০ জনকে আসামী করে আরো তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও পথসভাকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। দিনভর চলা সংঘর্ষে ৫ জন নিহত এবং পুলিশ সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ আহত হন।
নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৯), থানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫), উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০), সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন তালুকদার (২৪) এবং থানাপাড়ার রমজান মুন্সী (৩২)।
বাংলা৭১নিউজ/এবি