শ্রম সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের একটি বিষয় বলেছেন— যতগুলো সংস্কার কমিশন এখন পর্যন্ত তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এর মধ্যে এই কমিশনের বিশেষ দিক হচ্ছে এটাতে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারেস্ট আছে।
তারা আসলে দেখবে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে কাজ করছে। এবং যে সুপারিশগুলো দিয়েছে সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
আজাদ মজুমদার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ওনাদের পরামর্শ দিয়েছেন, এই প্রতিবেদন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে যেন কথা বলেন। যাতে করে ঐকমত্য কমিশন যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে সেখানে যেন এই প্রসঙ্গগুলো রাখতে পারেন। শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা থাকাটাও জরুরি।
সুপারিশের বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, ওনারা মূল যে সুপারিশের কথা বলেছেন সেটি হচ্ছে সব শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা। ওনারা পর্যালোচনা করে দেখেছেন আমাদের দেশে ৮ কোটি শ্রমজীবী মানুষ আছে। তার মধ্যে ৮৫ শতাংশ (সাত কোটি) শ্রমিকেরই কোনো আইনি সুরক্ষা নেই। তারা সুপারিশ করেছেন এই শ্রমিকদের জন্য যেন একটি আইনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়।
তিনি বলেন, পাশাপাশি জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের একটা সুপারিশ ওনারা করেছেন। যাতে করে সব ধরনের শ্রমিক যেন জাতীয়ভাবে ন্যূনতম মজুরির আওতায় আসতে পারেন। এটা নিশ্চিত করতে বলেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব বলেন, শ্রমিকদের জন্য তথ্য ভান্ডার গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। যাতে শ্রমিকদের পরিচয়পত্র রাখা হয়। বিভিন্ন আন্দোলনে অনেক শ্রমিকের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য দ্রুত সরকারকে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকার যেন আরো সহজ করা যায় সে কথা বলা হয়েছে।
দরকষাকষির বিষয়ে যেন নিশ্চিত করা যায় সেই বিষয়ে তারা বলেছেন। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালে একটি নির্দেশনা আছে, সেই নির্দেশনার আলোকে কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও যৌন নিপীড়নের বিষয় নিশ্চিত করা হয় সে বিষয়ে সরকারকে কাজ করার জন্য সুপারিশ করেছেন।
তিনি আরও বলেম, ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটির সুপারিশ শ্রম সংস্কার কমিশনসহ অন্যান্য কমিশন থেকেও এসেছে। এর বাইরে ওনারা শ্রমিকদের জন্য একটি সার্বজনীন তহবিল তৈরির কথা বলেছেন। যাতে করে এই তহবিলের মাধ্যমে শ্রমিকরা বেনিফিটের হতে পারেন।
তারা কোনো দুর্ঘটনায় স্বীকার হলে যেন এই তহবিল থেকে তাদের সহায়তা করা হয়। কর্মক্ষেত্রে যেন তাদের মহিলা পরিবর্তে নারী শব্দ ব্যবহার করা হয়। শ্রম আদালতসহ বিচার ডিভিশন পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে যেন বাংলার প্রচলন করা হয়। এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী পুরুষ সবার শ্রমিকের অংশগ্রহণ কথা বলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ
উপদেষ্টা সম্পাদক : সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, প্রধান সম্পাদকঃ তাজিন মাহমুদ, সম্পাদক: ডা: সাদিয়া হোসেন, যোগাযোগঃ ৪/এ,ইন্দিরা রোড, মাহবুব প্লাজা (২য় তলা) ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ ।মোবাইল: ০১৯৭১-১৯৩৯৩৪, ০১৫৫২-৩১৮৩৩৯, ই-মেইল: [email protected]; [email protected]। ওয়েব:www.bangla71news.com
© All rights reserved © 2018-2025