বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) এবং আল আমিন সানি (১৯)।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সরোয়ার জাগো নিউজকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গ্রেফতার এই তিনজন এজাহারভুক্ত আসামি নয়। তবে এই তিনজন হত্যাকাণ্ডের সময় উপস্থিত ছিলেন এবং সিসি ক্যামেরাতেও তাদের গতিবিধি দেখা গেছে।
বনানী থানার ওসি আরও বলেন, সোমবার ভোরে মহাখালী ওয়ারলেস গেটসহ আশপাশে এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এই তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত এবং কী নিয়ে হত্যা সবকিছু জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নিহতের ঘটনায় ১৯ এপ্রিল রাতে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন– মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জহর গিফফারি পিয়াস (২০), মো. মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজি (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২৫/৩০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, একজন মেয়েকে দেখে হাসাহাসির কারণ জানতে গিয়ে তর্কাতর্কির বিষয়টি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের লেকচারার শুসমা ছোঁয়াতী এবং সাইকোলজি বিভাগের আবুল হাশেমের নজরে এলে তারা উভয়পক্ষকে ডেকে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান।
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে শিক্ষক শুসমা ছোঁয়াতী ও আবুল হাশেম ইংরেজি বিভাগের মশিউর রহমানের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা করে দিলে সবাই যার যার মতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যায়।
এজাহারে আরও বলা হয়, পারভেজ ও তার বন্ধুরা বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার ওপর নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনাকালে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে উল্লিখিতসহ অজ্ঞাত আসামিরা হাতে ছুরি-চাকু, চাপাতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বনানী থানাধীন ১৭ নম্বর সড়কে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ধাওয়া করে।
দৌড়ে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশকালে মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস ও মাহাথির হাসানসহ অন্যরা পারভেজ ও তরিকুল ইসলামকে ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে।
একপর্যায়ে আবু জহর গিফফারি পিয়াস ও মাহাথির হাসান পারভেজকে শক্ত করে ধরে রাখে আর মেহেরাজ ইসলাম ছুরিকাঘাত করে। পারভেজের বন্ধু তরিকুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মাথার মাঝে এবং বাম হাতের কনুইয়ের নিচে জখম করে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ
উপদেষ্টা সম্পাদক : সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, প্রধান সম্পাদকঃ তাজিন মাহমুদ, সম্পাদক: ডা: সাদিয়া হোসেন, যোগাযোগঃ ৪/এ,ইন্দিরা রোড, মাহবুব প্লাজা (২য় তলা) ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ ।মোবাইল: ০১৯৭১-১৯৩৯৩৪, ০১৫৫২-৩১৮৩৩৯, ই-মেইল: [email protected]; [email protected]। ওয়েব:www.bangla71news.com
© All rights reserved © 2018-2025