নির্দিষ্ট ভাড়া থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে দূরপাল্লার অধিকাংশ পরিবহন। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ভাড়ার এই বাড়তি টাকা ফেরত পাচ্ছেন যাত্রীরা। রোববার (১৫ জুন) রাজধানীর গাবতলীর পর্বত সিনেমা হলের কাছে চেকপোস্ট বসিয়ে পরিবহনগুলোতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। অভিযানে ভুক্তভোগী যাত্রীদের বিকাশে এবং ক্যাশের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
ঢাকা-পঞ্চগড়গামী শ্যামলী স্লিপার এসি কোচ। এই রুটে নির্ধারিত ভাড়া ১ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ ঈদের দোহাই দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। গাবতলী চেকপোস্টে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার তথ্য প্রমাণ পায় যৌথ অভিযানে। এর পর বাড়তি ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়। যেসব বাস বাড়তি ভাড়া ফেরত দিচ্ছে না সেই সব বাস ডাম্পিংয়ে দেওয়া হচ্ছে।
শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী হাবিবুর রহমান হিমু বলেন, সাধারণ ভাড়া ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু আমাদের কাছে ৩ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। অনলাইনে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। তারা আমাদের জিম্মি করছে। তবে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অর্ধেক ভাড়া ফেরত পাচ্ছি খুব ভালো লাগছে।
ঢাকা-পাবনাগামী হাসিব পরিবহন সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর থেকে ঢাকা রুটে যাতায়াত করে। এই রুটের ভাড়া ৪০০ টাকা। অথচ যাত্রীদের কাছে ৬০০ টাকা ভাড়া রাখা হয়।
সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ২০০ টাকা ফেরত পেয়ে খুশি শাহজাদপুেরর বাসিন্দা সাউফুল হক। তিনি বলেন, শাহজাদপুর সিরাজগঞ্জ ভাড়া ৪০০ টাকা। এখন ৬০০ টাকা ভাড়া রাখা হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বাড়তি ভাড়া যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হয়।
গাবতলী পর্বত এলাকায় অধিকাংশ পরিবহনে চলছে অভিযান। টাকা ফেরত না দিলে অনেক বাস ডাম্পিং দেওয়া হয়। ঢাকা-দিনাজপুরগামী আহাদ এসি পরিবহন। এই পরিবহনের ভাড়া ১ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু ২ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। বাসের মালিক যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে এসি দূরপাল্লার পরিবহনটিকে ডাম্পিংয়ে দেওয়া হয়।
যৌথ অভিযান প্রসঙ্গে দারুস সালাম থানার পুলিশ সার্জেন তানজীদ আহমেদ বলেন, সকাল থেকে দূরপাল্লার পরিবহনগুলোতে যৌথ অভিযান চলছে। আমরা যাত্রীদের টিকিট চেক করছি। বাড়তি ভাড়া আদায় হলে তা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভাড়া ফেরত না দিলে সেনাবাহিনীর নির্দেশ মোতাবেক বাস ডাম্পিংয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ