বাংলা৭১নিউজ,নেত্রকোনা: প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হলেন, শিক্ষার মূল ভিত্তি প্রদানকারী মানুষ গড়ার কারিগর। স্বাধীনতার পরপরই একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের জনগনকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয় করণের ঘোষনা করেন।
তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শতভাগ প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রতিটি গ্রামে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, অবকাঠামোর উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় পানীয় জল ও স্যানিটেশন ব্যবস্থায় উন্নয়ন, কম্পিউটার ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর প্রদান এবং শিক্ষকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। তারপরও শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এ জন্য শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের অসচেতনতাকে দোষারোপ করেন। শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণ করতে হলে সবার আগে নিজেদেরকে যোগ্য শিক্ষক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষকদেরকে সঠিক সময়ে স্কুলে আসা যাওয়া করা, আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদান করাতে হবে। শতভাগ মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে ছাত্র, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের আরো অধিক আন্তরিকতা এবং অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় পাবলিক হলে নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ, মতবিনিময় সভা ও মা সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষনে এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ আকরাম আল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পন্ডিত, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আরিফুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম, পৌর মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আমিন, রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারী গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ওবায়দুল্লাহ প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এমএম