শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মধুমতির ভাঙনের ঝুঁকিতে স্কুল-মাদরাসা-মসজিদ বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২২, আহত ১১৭ বিশ্বে ৮ শিশু ও তরুণীর মধ্যে একজন ধর্ষণ-যৌনহয়রানির শিকার এটিএম থেকে বিকাশে রেমিটেন্স ক্যাশ আউট ৭ টাকায় বগুড়ায় বিলের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো জামায়াত মমতাজসহ ৯০ জনের নামে হত্যা মামলা একসঙ্গে ৫ নারী বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নতুন ইতিহাস সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান ক্যাং নির্বাচনমুখী সংস্কারগুলো আগে বাস্তবায়ন করতে হবে: সালাহউদ্দিন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র কারাগারে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫০ বাংলাদেশি রাশিয়ায় এবার বিমানঘাঁটিতে হামলা, এখনো জ্বলছে তেল টার্মিনালের আগুন ২৪ ঘণ্টায় সাবের হোসেন কীভাবে মুক্তি পেলেন: প্রশ্ন রিজভীর রাজনগরে ২৩১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার, আটক ১ হারুনের দেশত্যাগ নিয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের নামে মাহমুদুর রহমানের মামলা ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম কিছুটা কমেছে: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক মাদরাসার ভেতরে, ১৪ শিক্ষার্থী আহত দুই কোটির ব্যবসায় ১৫১ কোটি টাকা ঋণ, এস আলমের মাসুদের ঘাড়ে দায়

জামালপুরে তীব্র ত্রাণ সংকট, ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(জামালপুর)প্রতিনিধি: জামালপুরে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনার পানি এখনও বিপৎসীমার ১১৪ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি ছড়িয়ে পড়ছে সদর উপজেলার কেন্দুয়া, তুলশীরচর, লক্ষ্মীরচর ইউনিয়ন ও পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে। পানিবন্দি রয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ মানুষ।

এদিকে ১০ দিন ধরে যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় দুর্গত এলাকায় ত্রাণের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে পানিবাহিত রোগ। বাড়িঘর ছেড়ে অনেকেই বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন।

Jamalpur-Flood-3.jpg

তাদেরই একজন ফুলমতি বেগম। তিনি জানান, এখানে আশ্রয় নেয়ার পর একদিন শুকনা রুটি, আরেক দিন শুধু খিচুড়ি ছাড়া কিছুই পাননি। কিন্তু সরকারি লোক এসে বলেছিল, আজ রুটি দিলাম, কাল খিচুড়ি দেব। চাল, ডাল সব দেব। শিশুদের জন্য আলাদা খাবার, আর গরুর জন্য আড়াই কেজি করে ভুষি দেব। কিন্তু আজ ৬ দিন ধরে এসব কিছুই আসেনি। অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। যদি ডাক্তার এসে চিকিৎসা-ওষুধ দিত তাহলে কষ্ট করা লাগত না। তার মতো আরও অনেকেই ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. গৌতম রায় জানান, দুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের মোট ৮০টি টিম কাজ করছে। তারা এই মুহূর্তে দুর্গতদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ডাইরিয়া ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

এদিকে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্যার পানিতে বন্দি থাকায় দুর্গত এলাকা ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। ফলে কোথাও ত্রাণ বিতরণের কথা শুনলেই, সেখানে ছুটে যাচ্ছেন বানভাসি মানুষেরা।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানিয়েছেন, নতুন করে ১৩০ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯৮০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্যা দুর্গতদের মাঝে রুটি ও খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে।

বাংলা৭১নিউজ/এমএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com