সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাকরির বয়স ৩৫ আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল যমুনায় অটোমেটেড সেবা প্রতিরোধ করবে অপচয় ও দুর্নীতি : অর্থ উপদেষ্টা নেপালে বন্যা-ভূমিধসে ১৯২ মৃত্যু, উদ্ধারে হিমশিম আমরা প্রস্তুত, দীর্ঘ যুদ্ধেও বিজয়ী হবো: হিজবুল্লাহর উপপ্রধান এবি ব্যাংকের বন্ড ইস্যু পুনর্বিবেচনার আবেদন তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনায় ২ জনের মরদেহ উদ্ধার ৯৯৯-এর রেসপন্স টাইম আরো কমিয়ে আনা হবে : আইজিপি প্রাথমিক শিক্ষা সংস্কারে কমিটি, নেতৃত্বে ইমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর হাসিনার পতনের পর গ্রামীণফোনের শেয়ারদর বেড়েছে ৫৩ শতাংশের বেশি স্বামীসহ গ্রেফতার সাবেক এমপি হেনরি যুবদল নেতা হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সুলতান মনসুর মিরাজ-সাকিবের ঘূর্ণির পর ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা ভারতের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সুপারিশমালা দেবে বিএনপি সেপ্টেম্বরে নির্যাতনের শিকার ১৮৬ নারী-কন্যাশিশু জিয়াউর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলায় মামলা চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবি: পর্যালোচনা কমিটি গঠন ডিসি নিয়োগ নিয়ে হট্টগোল: ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে মাঝ রাতের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রে হেলেনের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১

তানোরে কৃষিতে প্রযুক্তির ছোঁয়া

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

 

বাংলা৭১নিউজ,সোহানুল হক পারভেজ: রাজশাহীর তানোরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়নের কারণে দ্রুত কমে যাচ্ছে আবাদযোগ্য কৃষি জমি। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহার কৃষি ব্যবস্থার আগের চিত্র বদলে দিয়েছে। আধুনিক যন্ত্রাংশের ছোঁয়ায় কৃষি জমির পরিমাণ কমলেও বেড়েছে খাদ্যশস্য উৎপাদন। তানোর উপজেলার বরেন্দ্র এই অঞ্চলসহ রাজশাহী জেলা জুড়েই কৃষকরা বীজতলা থেকে উৎপাদন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে যোগ করছেন যান্ত্রিক প্রযুক্তি। মাত্র দু’ দশক আগেও তা ছিল স্বপ্নের মতো।

বরেন্দ্র এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানেই আবাদি জমিতে কৃষকরা চাষ দেন ট্রাকটর যন্ত্রে। বীজতলা তৈরি ও বীজ বোনাও চলছে যন্ত্রেই। সেচ পাম্প ব্যবহারে সেচ পদ্ধতিরও পরিবর্তন হয়েছে আরও আগেই। চাষ দেয়ার মতো ধান মাড়াইতেও এখন আর গরু বা মহিষের ব্যবহার নেই বললেই চলে। সকল কাজেই যন্ত্রেও ছোঁয়া। যন্ত্র যেমন শ্রমকে বাঁচিয়েছে, তেমনি সময়কেও। গ্রামাঞ্চল থেকে বছর বা মাস কাবারি কামলা প্রথা উঠেই গেছে। এখন কম জমিতে চাষাবাদ করে অনেক বেশি ফসল পাওয়া যাচ্ছে। আধুনিক যন্ত্রাংশের ব্যবহারে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে।

উপজেলার ৩০-৫৫ জন প্রান্তিক কৃষক জানান, যন্ত্রের মাধ্যমে চাষাবাদসহ অন্য কাজ সারলেও এখনও ক্ষেতে মই দেয়ার কাজ গরু-মহিষ দিয়েই করছেন তারা। কারণ যন্ত্রের মাধ্যমে চাষ করে যন্ত্র দিয়ে মই দিলে ক্ষেত উচুঁ-নিচু হয়ে থাকে। এতে ধানের ক্ষেত্রে ঠিক মত পানি থাকে না। তানোর উপজেলার আমশো গ্রামের কৃষক আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান রুঙ্জু জানান, এক লাখ বিশ হাজার টাকায় দুই বছর আগে এক জোড়া গরু কিনেছেন তিনি। নিজের ১৬ বিঘা জমি বিগত বোরো মৌসুমে অন্যের কাছে ভাড়া নেয়া পাওয়ার টিলার দিয়ে একদিনেই হাল চাষ করেছেন তিনি। পরে শুধু নিজের গরু দিয়ে মই দিয়েই চারা রোপন করেছেন।

উপজেলার গোল্লাপাড়া গ্রামের বঙ্গবন্ধু পদকপ্রাপ্ত কৃষক নূর মোহাম্মদ জানান, দিনদিন প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে বর্তমানে যন্ত্রের সাহায্যে (ট্রাক্টর) দিয়ে হাল চাষ সহ কৃষি কাজ করা হচ্ছে। তবে গরু দিয়ে হাল চাষ না হওয়ার কারনে অনেক ক্ষেত্রে মাটি জৈবিক ক্ষমতা হারাচ্ছে। তাই একদিকে যেমন ফলন কমে যাচ্ছে তেমনি রাসায়নিক সারের প্রভাব বেড়েছে। তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ জানান, দিনে দিনে কৃষি কাজে বাড়ছে যন্ত্রের ব্যবহার। কৃষি কাজে যান্ত্রিক উপকরণ দিয়ে হালচাষ, ক্ষেত থেকে ধান কাটা, ধান উঠানো এবং মাড়াইয়ের কাজও করছেন কৃষকেরা যন্ত্রের মাধ্যমে। যন্ত্রের ব্যবহার আসাই অল্প সময়েই সব জমি চাষ ও চারা রোপন করতে পারছে কৃষক। তাতেই কৃষি খাতে অনেক উন্নতি হয়েছে।

বর্তমানে কৃষি ক্ষেত্রে যে যান্ত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে তার বিবরণ জানালেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সা¤প্রতিক বছরগুলোয় কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম সংযোজনের একটি হচ্ছে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসল কাটা, খোসা থেকে দানা আলাদা করা যায়। এ কারণে বিভিন্ন স্থানে সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনায় কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। ছোট আকৃতির ধানি জমি চাষেও রয়েছে এর ব্যবহার। এছাড়া বীজ বপন, সার প্রয়োগ ও কীটনাশক ছিটানোর জন্যও রয়েছে ব্রডকাস্ট সিডার। নির্দিষ্ট অবস্থানে বীজ বপনের জন্য আছে সিডর্ডিল। জমির শক্ত মাটি কর্ষণের জন্য সাব সয়লার, ধান কিংবা অন্যান্য ফসলী বীজ শুকানোর জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রায়ার যন্ত্র। ধান, গম, ভুট্টা শুকাতেও ব্যাচ ড্রায়ার নামক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া শস্য কাটার জন্য রয়েছে পাওয়ার রিপার মেশিন। বীজ ঝেড়ে পরিষ্কারের জন্য আছে ইউনার যন্ত্র।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা আরো জানান, উৎপাদন খরচ অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এক একর জমির ধান কাটতে কৃষকের খরচ হয় পাঁচ হাজার টাকা। কিন্তু যন্ত্রের মাধ্যমে কাটলে খরচ হবে মাত্র দেড় হাজার টাকা। বর্তমানে কৃষি কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে আধুনিক উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতির বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার হচ্ছে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, সরকার কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য বিনামূলে কৃষি সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি, সার-বীজ বিতরণ করে যাচ্ছে। সরকারের আন্তরিকতায় বাংলাদেশে কৃষি সেক্টর বর্তমানে একটি মডেল। শ্রম, অর্থ, সময় বাঁচাতে, সবকিছুকে আরও বেশি প্রযুক্তি নির্ভর করতে হবে। একদিন উচ্চ শিক্ষিত মানুষেরাও কৃষি কাজে এগিয়ে আসবেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com