বাংলা৭১নিউজ, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের প্রবেশ পথে পুলিশের ওপর বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিন জনে দাঁড়িয়েছে।
দুপুর ১২টায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জহিরুল ইসলাম ও আনসারুল ইসলাম নামে দুই পুলিশ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। একইসঙ্গে হামলাকারীদের একজনও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
বোমা হামলায় আহত ১০ জনকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল, পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আহতদের ময়মনসিংহ সিএমএইচে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে গুরুতর আহতদের হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঈদগাহ ময়দান থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে আজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হামলাকারীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আহত পুলিশ সদস্যদের অবস্থা গুরুতর। তাদের কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশাররফ হোসেন জানান, শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের আগে স্থানীয় আজিমুদ্দিন স্কুলের সামনে টহল পুলিশের উপর শক্তিশালী ককটেল হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ ১২ জন আহত হয়।
আহতদের কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম ও আনসারুল ইসলাম মারা যায়। পরে পুলিশ-সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক হামলাকারী নিহত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন। শোলাকিয়া ঈদগাহের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
তবে শোয়াকিয়া মাঠে যেখানে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সেখানে র্যাব, পুলিশ ও আনসারের বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত আছে। ফলে সেখানে নিরাপত্তার কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। তবে আজিমুদ্দীন স্কুল মাঠে সংঘর্ষের ঘটনায় শোলাকিয়ায় আগত মুসল্লিদের মধ্যে ভয়ভীতির সঞ্চার হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে