বাংলা৭১নিউজ,(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনায় প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে হতদরিদ্র মানুষের বাড়িঘর। এতে পুরো গ্রাম এখন আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে রানীগ্রাম মধ্যপাড়ায় সরেজমিনে গেলে ভাঙচুর ও লুটপাটের এমন চিত্র দেখা যায়। এ সময় কথা হয় ওই মহল্লার ফারুক হোসেন, শুকুর আলী, হাসেন আলী, বুলবুলি খাতুন, সাজেদা বেগম, আকবর প্রামানিক, চাঁন মিয়া ও ছাবিনাসহ ক্ষতিগ্রস্ত অনেকের সঙ্গে।
তারা বলেন, ‘প্রায় ৯ মাস পূর্বে যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা খুন হন। এরপর থেকে দফায় দফায় দুই পক্ষে সংঘর্ষ হচ্ছে। আর এই সংঘর্ষের মাসুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আমরা কোনো পক্ষের সঙ্গে নেই, তবুও আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করছে। বাঁধা দিতে গেলে মারপিট করে।
গত দু’দিন আগেও নিহত মোস্তফার শ্যালক হীরা ও তার ভাই ইউনুসের নেতৃত্বে হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ করে তারা বলেন, হামলাকারীরা প্রতিটি ঘরের টিন কুপিয়ে ঘরে ঢুকে আলমারি, ফ্রিজ, খাঁট, টিভি, ড্রেসিং টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। ধান-চাল, টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। এতে এ অঞ্চলের অন্তত ২০/২৫টি পরিবার নিঃস্ব হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী চরম আতঙ্কে আছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি গোলাম মোস্তফাকে একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য একই গ্রামের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছাড়াও কিছু গ্রামবাসীকে দায়ী করে প্রায় অর্ধশত ব্যাক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়।
পরবর্তীতে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে গোলাম মোস্তফার অনুসারীরা ওই গ্রামের রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়ী প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুরসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে মারপিট করতে থাকে। এসব কারণে অনেকেই গ্রামছাড়া হন। আসামিদের অধিকাংশ জামিনে ছাড়া পেয়ে গ্রামে ফিরে এসেছেন এবং নিজেদের নিরপরাধ বলে দাবি করে অস্তিত্ব টিকিয়ে থাকার স্বার্থে শক্তি প্রদর্শনের মহড়ায় নেমেছেন।
বাংলা৭১নিউজ/আইএম