বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দেশে আরো বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। জঙ্গিগোষ্ঠী ঈদের আগেই বড় ধরনের কোনো বিপণিবিতান বা জনসমাগমে এ হামলা চালাতে পারে।
এজন্য রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নেওয়ার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেশজুড়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। রবিবার পুলিশ সদর দপ্তরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা এ নিয়ে বৈঠকও করেন।
দৈনিক সমকাল বৈঠক সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, দেশে আরও বড় ধরনের হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বড় ধরনের কোনো শপিংমল বা মার্কেটে এ হামলা হতে পারে। ঈদের আগে লঞ্চ টার্মিনাল, বাস টার্মিনাল বা রেলস্টেশনেও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার কথা বলেন কর্মকর্তারা। সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ছকও সাজানো হয়েছে। এরই মধ্যে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশপ্রধান এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৈঠক হয়। বৈঠকে গুলশানে কূটনৈতিকপাড়ায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে জঙ্গিদের এত ভারী অস্ত্র বহনের বিষয়টিও উঠে আসে। সেখানে কোনো গাফিলতি বা গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল কি-না তা নিয়েও আলোচনা হয়। কোন পরিপ্রেক্ষিতে দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা মারা গেলেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বড় হামলার আশঙ্কা করে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদারের সুপারিশ করেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, গুলশান হামলা থেকে শিক্ষা নিয়ে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার ফাঁক গলে যাতে আর এ ধরনের হামলা হতে না পারে, সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে সব পুলিশ সদস্যকে সতর্ক করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, আরও বেশি গোয়েন্দা তৎপরতা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে বেশি করে তথ্য আদান-প্রদানের ওপর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনো ধরনের নাশকতার তথ্য পেলে যাতে দ্রুত তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে সরবরাহ করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস