সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দুই ঘণ্টার কোটা আন্দোলনে স্থবির ঢাকা বাংলাদেশ-ইইউর ৩ মি‌লিয়ন ইউরোর ঋণ সহায়তা চু‌ক্তি স্বাক্ষর কুমিল্লা আদালতে মামুনুল হক-খালেদ সাইফুল্লাহ প্রতিমন্ত্রী সিমিনের সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ বিকাশ অ্যাপে প্রথমবার বিল পরিশোধে ৯০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট কুপন জরিমানা পরিশোধ করলেই গাড়ির কাগজ পৌঁছে যাবে ডাক বিভাগে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে জবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ চীনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে আ স ম রবের পাঁচ দফা একযোগে র‌্যাবের চার ব্যাটালিয়নসহ পাঁচ পরিচালককে বদলি কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন নেই, সমর্থন আছে: ফখরুল চুপিসারে ফেরেশতাদের কথা শুনে যা করতো জিনেরা ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার ঘটনায় মামলা, আওয়ামী লীগ নেতা আটক বেনজীরের গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট পরিদর্শনে দুদক টিম সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, যানচলাচল বন্ধ পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যা জানা গেলো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে জড়ো হচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু: রেলমন্ত্রী কোটা-শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে বৈঠকে ৬ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন শাহনাজ আরেফিন

মন্ত্রী-এমপিরা পার পেয়ে যাচ্ছেন!

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করা মন্ত্রী ও এমপিরা পার পেয়ে যাচ্ছেন। এমনকি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্তও থেমে আছে। আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে বিভাজন চাচ্ছেন না ক্ষমতাসীন দলটির নীতিনির্ধারকরা। ফলে অভিযুক্ত মন্ত্রী-এমপিদের শেষ পর্যন্ত শাস্তির মুখোমুখি নাও দাঁড়াতে হতে পারে। আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট সূত্র  এ তথ্য জানিয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনে কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় অর্ধশতাধিক সংসদ সদস্য এবং আরো শতাধিক সাবেক এমপির বিরুদ্ধে সরাসরি নৌকার বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে অভিযুক্তদের নামের তালিকা উপস্থাপন করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা। পরে তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের (সাংগঠনিক সম্পাদক) নির্দেশ দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক গত বুধবার বলেন, শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেই আমার ধারণা। অভিযুক্তদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দলীয় হাইকমান্ড অনাগ্রহ প্রকাশ করছে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে অভিযোগ তদন্তের জন্য বলা হলেও দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ নিয়ে আর কোনো উৎসাহ নেই।

তিনি জানান, অভিযুক্তদের তালিকায় বিপুলসংখ্যক সংসদ সদস্য থাকায় আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নিয়েও কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করেনি। ইতিমধ্যে এক মাস অতিবাহিত হয়েছে। আগামী অক্টোবরে দলের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আট বিভাগের জন্য গঠিত আওয়ামী লীগের কমিটিগুলোর সদস্যরা জেলা সফর শুরু করেছেন। চলছে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন ও কমিটি পুনর্গঠনের কাজ। এ অবস্থায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উত্থাপন দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছে দলীয় হাইকমান্ড। তাই শেষ পর্যন্ত কারণ দর্শানোর নোটিশটাও হয়তো ইস্যু করা হবে না।

অবশ্য এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অনেকের বিরুদ্ধে নৌকার বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এ ব্যাপারে বলেন, উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অনেকেই কাজ করেছেন। অভিযোগগুলো আসার পর তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম চার ধাপের ভোট হয়ে গেছে। এ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের কোনো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। ফলে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রতিপক্ষ দলটির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল না থাকায় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডও এ নির্বাচনে একক প্রার্থী নির্ধারণের ক্ষেত্রে তেমন কড়াকড়ি আরোপ করেনি। তাই প্রায় প্রতিটি উপজেলায় নৌকার বিপক্ষে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। আর তাঁদের সরাসরি সমর্থন জুগিয়েছেন কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ অর্ধশতাধিক দলীয় সংসদ সদস্য। সাবেক সংসদ সদস্যদেরও নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করতে দেখা গেছে।

দলীয় সূত্র জানায়, দুজন মন্ত্রী ও দুজন প্রতিমন্ত্রীসহ ৫৫ এমপির বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা সরাসরি নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন। ঢাকার পার্শ্ববর্তী এক জেলার সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রী নৌকার বিপক্ষে কাজ করে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন। মন্ত্রী-এমপিদের সমর্থনের ফলে ১৩৬টি উপজেলায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাঁরা স্থানীয়ভাবে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের লোক বলেই পরিচিত।

বাংলা৭১নিউজ/এম.এস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com