শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মাও সেতুংয়ের জন্মদিনে চীনের আকাশে ‘গোপন বৈশিষ্ট্যের’ যুদ্ধবিমান ক্রসফায়ারে নিহত বিএনপি নেতার পরিবারকে বাড়ি দিচ্ছেন তারেক রহমান নাশকতাকারীরা কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন সুখরঞ্জন ঢাকা মেইলের সাংবাদিক কাজী রফিক আর নেই পাকিস্তানে পৃথক সংঘর্ষে এক মেজর ও ১৩ সন্ত্রাসী নিহত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক বারবার জাতীয় পতাকাকে খামচে ধরছে পুরোনো শকুন: উপদেষ্টা আদিলুর রহমান আরাকান থেকে পালিয়ে দেশে ঢুকেছে আরও ৩৪ রোহিঙ্গা তেল আবিব বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুথিদের আবাসন মেলায় ৪০৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-প্লট বুকিং নির্বাচনেও যেতে হবে কিন্তু তার আগে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে: দেবপ্রিয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল: আইএসপিআর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার প্রধান ফটক হলো নির্বাচন: ফখরুল সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শুরু সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হতে হবে, কাউকে প্রতিপক্ষ ভাবা ঠিক নয় জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো রাজনৈতিক দল হবে না: সারজিস আলম খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি বাধা নেই ঢাকামাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫ নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তদন্ত চলছে: ফায়ারের ডিজি

বাংলাদেশ ও কানাডা: দুই দেশের অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কতটা?

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৩ মে, ২০১৯
  • ২২৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি কানাডা ও থাইল্যান্ডের সমান বলে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে মন্তব্য করেছে, তা নিয়ে এখন বেশ আলোচনা চলছে। মন্ত্রী আইএমএফ-এর একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রকাশিত ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে এই তথ্য জানিয়েছিলেন।

কানাডা বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর একটি – এটি জি-৭ এবং অর্গানাজেশন অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)-র সদস্য।

ফলে বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনার বিষয়টি কৌতুহল সৃষ্টি করেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশের একটি কানাডার সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশের অর্থনীতির পার্থক্য আসলে কতটা?

মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)

একটি দেশের উৎপাদিত পণ্য বা সেবার মোট বাজার মূল্য হলো মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি। মানুষের ভোগ ব্যয়, বিনিয়োগ ব্যয় ও সরকারি ব্যয় মিলে জিডিপি নির্ধারিত হয়। রপ্তানি থেকে আমদানি বিয়োগ করে যা থাকবে, তাও এখানে যোগ হয়।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ২০১৭ সালে কানাডার মোট দেশজ উৎপাদন ছিল ১.৬৪৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল মাত্র ২৪৯.৭২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মাথাপিছু মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি পার ক্যাপিটা)

বিশ্বব্যাংকের ২০১৭ সালের হিসাবে কানাডার মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন ৪৪,৮৭০.৮ মার্কিন ডলার হলেও, বাংলাদেশের এই আয় ১,৫১৬.৫ মার্কিন ডলার।

মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়

মোট দেশজ উৎপাদনের সঙ্গে বিদেশে অর্জিত অর্থ যোগ করার পর তা থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়া অর্থ বাদ দিলে যে ফলাফল পাওয়া যায়, তা-ই মোট জাতীয় আয়।

যেমন বাংলাদেশিরা বিদেশে কাজ করে যে অর্থ দেশে পাঠান, তার সঙ্গে যোগ হবে মোট দেশজ উৎপাদন। সেটি থেকে বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশে থেকে যে অর্থ বের করে নিয়ে যান, তা বাদ দিলেই মোট জাতীয় আয় পাওয়া যাবে।

কানাডার ২০১৭ সালে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় ৪২,৭৯০ মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আয় ১,৪৭০ মার্কিন ডলার।

গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিবাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের বড় অংশটি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে।

প্রবৃদ্ধির হার

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বার্ষিক মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.৩ শতাংশ। তবে একই অর্থবছরে কানাডার প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ শতাংশ।

তবে অর্থনীতির আকারে বিশাল পার্থক্য থাকলেও বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার দিক থেকে একই তালে রয়েছে বাংলাদেশ ও কানাডা।

ক্রয় ক্ষমতার বিবেচনায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৬ শতাংশ। আর তাতে বাংলাদেশ ও কানাডা সমান অবদান রাখবে – যা হবে ০.৯ শতাংশ।

২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের এই অবদান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।

বাংলাদেশের বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছন, এই হার আসলে তেমন কোন অর্থ বহন করে না।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, ”কারণ উন্নত দেশের প্রবৃদ্ধির হার এমনিতেই কম হবে, যেহেতু তারা অনেক উন্নতি করে ফেলেছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রবৃদ্ধির হার বেশি হবে।”

তিনি আরও বলেন, ”জনসংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা করলে সেটিও আসলে কিছুই না। যেমন বাংলাদেশের জনসংখ্যা কানাডার পাঁচগুণ বেশি, সেহেতু প্রবৃদ্ধিও পাঁচগুণ বেশি হওয়া উচিত – তাতো হয়নি।”

কানাডার একটি শহর এলাকাবাংলাদেশে মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে থাকলেও, কানাডায় এই হার অত্যন্ত কম বলে মনে করা হয়।

দারিদ্র সীমার নীচে থাকা মানুষের সংখ্যা হার

২০১৬ সালের তথ্য উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ২৪.৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। অর্থাৎ মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষই দারিদ্র সীমার নিচে রয়েছে।

কিন্তু কানাডায় দারিদ্র সীমার নিচে থাকা মানুষের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

মোট জনসংখ্যা

মোট জনসংখ্যার বিচারে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে কানাডা। বাংলাদেশের জনসংখ্যা যেখানে ১৬ কোটি ৪৬ লাখ, সেখানে কানাডার জনসংখ্যা মাত্র ৩ কোটি ৬৭ লাখ।

কানাডার একজন বাসিন্দার গড় আয়ু ৮২ বছর, যেখানে বাংলাদেশের একজন মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৩ বছর।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: বিবিসি বাংলা

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com