বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় ১২৮তম বাংলাদেশ পানিতে ডুবে দুই সন্তানের মৃত্যু, শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা ঘর পাচ্ছে আরও ২০ হাজার ভূমিহীন পরিবার বাংলাদেশে চালের উৎপাদন বেড়েছে চারগুণেরও বেশি বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়টি আবার সচল করা হবে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের দুই বছরের কারাদণ্ড নিষেধাজ্ঞায় তাদের অপকর্ম থামেনি: ফখরুল ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা চট্টগ্রামে নির্বাচনে সংঘর্ষ, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন উপজেলা নির্বাচন : স্ট্রোক করে মারা গেছেন ১ ভোটার ও ১ আনসার ‘ভাইদের কোনো লাইসেন্স ছিল প্রমাণ দিতে পারলে শাস্তি মেনে নেব’ ভূতের গলিতে নির্মাণাধীন ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু পুলিশি বাধায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে যেতে পারেনি গণসংহতির মিছিল ‘আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই’ ভিসানী‌তির অধীনে সাবেক সেনাপ্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র কুড়িগ্রামে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক ১, ১৫ দিনের সাজা রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে মার্কিন ভূমিকার অভিযোগ অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের গোটা বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে আছে : রিজভী শরীয়তপুরে চেয়ারম্যানপ্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় ১০ সাংবাদিক আহত

এডিপির নতুন আকার : সর্বোচ্চ বরাদ্দ পরিবহনে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ৮ মে, ২০১৯
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বর্ধিত সভায় আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সুপারিশ চূড়ান্ত হয়েছে। সভার তথ্য অনুযায়ী, বরাদ্দের দিক থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে পরিবহন খাত। বিদ্যুৎ, ভৌত অবকাঠামোর পরই সর্বোচ্চ বরাদ্দের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে শিক্ষা ও ধর্ম খাত।

বুধবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে মন্ত্রী জানান, আজ বর্ধিত সভায় এডিপির এই আকার গ্রহণ করা হয়েছে। এটা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এডিপির পরিমাণ ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ছাড়া, সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা এবং বিদেশিদের কাছ থেকে ঋণ নেয়া হবে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

এডিপির অগ্রগতির চিত্র তুলে এম এ মান্নান বলেন, বর্তমান এডিপির অগ্রগতি এপ্রিল পর্যন্ত ৫৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ, টাকায় যার পরিমাণ ৯৬ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। গত বছর এই সময়ে এডিপির অগ্রগতি ছিল ৫২ দশমিক ৪২ শতাংশ, টাকায় যার পরিমাণ ৮২ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা।

এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন কোন খাতে কতো বরাদ্দ সেই তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, পরিবহন খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৫২ হাজার ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ২৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা মোট এডিপির ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ১২ শতাংশ। শিক্ষা ও ধর্ম খাতে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, টাকায় যার পরিমাণ ২১ হাজার ৩৭৯ কোটি ১২ লাখ।

বরাদ্দ গুরুত্বের বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সব খাতকেই সমান প্রাধান্য দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কৌশলে ২০০৯ সাল থেকে অসম্ভব রকমের উন্নয়ন করতে পেরেছেন, সেই কৌশল থেকে সরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আমাদের হাতে নেই। কারণ সেটা বাস্তব সম্মত হবে না।

এম এ মান্নান বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা– এই চার-পাঁচটা ক্ষেত্রে আমরা ঘোরাফেরা করছি। কারণ এগুলো আমাদের ভালো ফল দিয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া উপরের চার খাতের পরই বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ১৭ হাজার ৫৪১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট এডিপির ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ১৫ হাজার ১৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা এডিপির ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ খাতে ১৩ হাজার ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা এডিপির ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। কৃষি খাতে ৭ হাজার ৬ ১৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, যা এডিপির ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। পানি সম্পদ খাতে ৫ হাজার ৬৫২ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা এডিপির ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। জনপ্রশাসন খাতে ৫ হাজার ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা এডিপির ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হচ্ছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রিতা ভাঙার জন্য নতুন কোনো পদক্ষেপ থাকছে কি না, জানতে চাইলে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, এই ট্রেন্ড ভাঙার জন্য আমরা চেষ্টা করেই যাচ্ছি। আইএমইডিকে আরও শক্তিশালী করা হবে। মাঠে যে প্রকল্প পরিচালকরা আছেন, তাদেরকে অনেক স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি গ্রামে থাকছেন। আশা করি বড় ফল পাবেন। আপনারা বছর শেষে চমকপ্রদ সংবাদ পাবেন বলে জানান মন্ত্রী।

এডিপি বাস্তবায়নের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, আমাদের ফিজিক্যাল অগ্রগতি অনেক বেশি। তবে টাকাই হলো রিয়েল রিফ্লেকশন অব এক্সপেনডিচার। আমরা ভীত নই। কারণ আগের বছরও আমরা একইভাবে এসেছি। এ বছর আমরা উন্নতি করেছি। মোটেও ভয় পাচ্ছি না। কারণ আমরা জানি, অনেক বিল পে হয়নি। অ্যাকাউন্ট অফিসে ঝুলে আছে।

বাংলা৭১নিউজ/এলএ.এফএ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com