রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল এবার পোশাকে নায়িকাদের নাম ফুটিয়ে হাজির ভাবনা সোনালী আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী অনিয়ম এড়াতে মোবাইল অ্যাপে চাল বিক্রি ৩০ দিনের মধ্যে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবি মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে : রেলমন্ত্রী যিনি দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল আপনি তো ওনারই সন্তান হেফাজত নেতা মামুনুল হক ডিবিতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে স্কুলসামগ্রী বিতরণ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি হাবিব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু ডেপুটি গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা নেই বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা ঢাবিতে বিষমুক্ত ফল নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন গোপালগঞ্জের সেপটিক ট্যাংকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ২ শ্রমিক নিহত দিল্লির তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে ভোট বর্জনই বিএনপির আন্দোলন: এ্যানি আফগানিস্তানে বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু

সেফ হোমে ১১ কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা, মাটি চাপা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৪ মে, ২০১৯
  • ১৯৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: ভারতের বিহার রাজ্যের মুজাফ্ফরপুর কিশোরী সেফ হোমে ১১ কিশোরী হত্যার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে চাঞ্চল্যকর হলফনামা দাখিল করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই। এতে সেফ হোমের নিখোঁজ ১১ কিশোরীকে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের পর হত্যা করে বিভিন্ন স্থানে মাটি চাপা দেয়া হয় বলে জানানো হয়েছে।

সিবিআই বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানান, সেফ হোমে থাকা ১১ কিশোরীকে হত্যা করেছেন মূল অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুর এবং তার সঙ্গীরা। জবানবন্দিতে অভিযুক্তরা ওই কিশোরীদের ধর্ষণের পর হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি স্থানের মাটির নিচ থেকে বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করা হয়েছে।

বিহারের একটি এনজিও পরিচালিত ওই সেফ হোমে বেশ কয়েকজন তরুণী যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। কিশোরী সেফ হোমে যৌন নিপীড়নের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে টাটা ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্সের এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর।

পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্তভার দেয়া হয় দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআইর হাতে। দীর্ঘ তদন্তের পর সিবিআই এ ঘটনার মূল হোতা হিসেবে ব্রজেশ ঠাকুর-সহ মোট ২১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে হলফনামা দাখিল করে।

সিবিআই বলছে, তদন্তের সময় তদন্ত কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্স যৌন নিপীড়নের শিকার কিশোরীদের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। এতে ওই কিশোরীরা অভিযোগ করেছেন যে, অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুর এবং তার সঙ্গীরা সেফ হোমের অন্তত ১১ কিশোরীকে যৌন নিপীড়নের পর হত্যা করেছেন। সেই ১১ কিশোরীর নামও তদন্তে উঠে এসেছে।

অভিযুক্তদের একজন গুড্ডু প্যাটেল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিশেষ একটি স্থানে কিশোরীদের মাটি চাপা দেয়ার তথ্য জানায় গুড্ডু। পরে তাকে নিয়ে সেই স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করা হয়।

সিবিআইর তদন্তে দেখা যায়, সেফ হোমের রেজিস্টারে ১১ জনের নাম ছিল। তবে হোমের ৩৫ জনের মধ্যে অনেকেরই নাম একই ধরনের। যাদের প্রত্যেকেই বিভিন্ন সময় মুজাফফরপুরে কিশোরী সেফ হোমে ছিল।

এরই সূত্র ধরে তদন্ত পরিচালনা করে সিবিআই। আর এতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্তদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বিহারের একাধিক স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ ও সিবিআই। হলফনামায় বলা হয়েছে, সেফ হোমে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বহিরাগতদের যোগসাজস রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও তদন্ত চলছে।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র : এনডিটিভি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com