বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যাত্রাবাড়ীতে বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারের সময় গ্রেপ্তার ২ ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ: রিপোর্ট কামরুল-পলকসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেফতার বেনজীরের স্ত্রী ও মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ ভৈরব থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অবশেষে মায়ের বুকে ছেলে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন বাঘাবাড়ী নৌবন্দর নাব্য সংকট, ভিড়তে পারছে না জাহাজ নিয়োগ দুর্নীতি : ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচন সংস্কারে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১ প্রস্তাব লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া ট্রাম্পের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অঙ্গরাজ্য কানাডা ২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজারের বেশি : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযানের হুমকি তুরস্কের টিসিবির নতুন চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল ফয়সাল আজাদ একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ডিএমপি কমিশনার বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা রায়েরবাজারে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ

ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৯
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ রিপোর্ট: ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’।পরিস্থিতি রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামীকাল শুক্রবার এই ঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে পৌঁছতে পারে। আর  এটি গতিপথ পরিবর্তন করে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানলে তা হবে ভয়াবহ। বর্তমানে ভয়ঙ্কর এই ঝড়টির অবস্থান গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূরে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামী ৪ মে সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা হয়ে দিনাজপুরের দিকে যেতে পারে। সেই সঙ্গে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে আঘাত হানতে পারে।

বাংলাদেশে আঘাত হানলে কী ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে তা মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন সফরে যাওয়ার আগে এ ব্যপারে সব ধরণের নির্দেশনাই দিয়ে গেছেন।

ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এনডিআরসি প্রতিনিয়ত সংবাদ দিয়ে যাচ্ছে। সিপিপির (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) হেড কোয়ার্টার এবং উপকূলীয় ১৯টি জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এসব জেলার উপজেলা পর্যায়েও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

রেডক্রিসেন্টের নিয়ন্ত্রণ কক্ষও খোলা হয়েছে। উপকূলীয় আর্মি স্টেশনগুলোতেও ঢাকা থেকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তারা প্রস্তুতি রেখেছেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। সিপিপির ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তারা প্রস্তুত আছে।তারা এরই মধ্যে মাইকিং করে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছেন। মানুষের অন্ন, বস্ত্র ও চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এসব জেলার প্রশাসকদের কাছে ২০০ মেট্রিকটন চাল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে ৫ লাখ করে টাকাও দেওয়া আছে বলে জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। স্যালাইনের জন্য সুপেয় পানির ট্রাক পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, ফণীকে আবহাওয়া বিশারদরা গত ৪৩ বছরে মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঝড় হিসাবে ইতোমধ্যেই চিহ্নিত করেছেন। তাদের মতে, এখন পর্যন্ত যতবার সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তার মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী আকার নিয়ে আছড়ে পড়তে চলেছে ফণী। এ ব্যপারে দ্য হিন্দু রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৪৩ সালের পর এতো শক্তিশালী ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি বঙ্গোপসাগর উপকূল এলাকা।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন,  ফণী উড়িষ্যা, উপকূলে পৌঁছাতে পারে ৩ মে। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায়১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। উড়িষ্যা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়বে ফণী, এই ঝড়ের তাণ্ডবে একেবারে ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ। তারপর মুখ ঘুরিয়ে সেটি প্রবেশ করবে বাংলাদেশে৷ ঝড়ের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে ইতিমধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে৷

ফণী বর্তমানে তামিলনাড়ুর বিশাখাপত্তনমের পূর্ব উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার ও পুরী থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। গত ৪৩ বছরে অর্থাৎ ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে যত ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তারা এতটা শক্তিশালী আকার নেয়নি৷ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ১৯৬৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে মোট ৪৬টি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

উপকূলবর্তী এলাকায় জারি হয়েছে সতর্কতা৷ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব ভারতের উপকূলে থাকা সৈকত শহরগুলি থেকে পর্যটক ও স্থানীয়দের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে পুরোদমে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফণী ৪ মে বাংলাদেশে ঢুকে আঘাত হানতে পারে।

এসময় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ সাধারণত ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে এবং এই ঝড় যে কোনও সময় সৃষ্টি হতে পারে। তবে সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শেষে অথবা মে মাসের দিকে এমন ঝড় দেখা দিলেও বেশিরভাগই নভেম্বরে হয়।

বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ধ্বংসাত্মক শক্তি সঞ্চয় করে বুধবার দুপুরের দিকে সাগরের সামান্য উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। শুক্রবার ভারতের ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে ‘ফণী’র। প্রত্যেক বছর বিশ্বে মাত্র ২০ থেকে ৩০টি ঘূর্ণিঝড় এ ধরনের প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে আছড়ে পড়ে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com