বাংলা৭১নিউজ,(বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুরে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নাজিউর রহমান ওরফে নাহিদ (১৮) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী খুন হয়েছে। এ ঘটনায় রবিউল (২০) ও জাহিরুল ইসলাম ওরফে ত্বহা (১৮) নামে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদ মারা যায়। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের নারিল্যা পূর্বপাড়ার মতিউর রহমান মাস্টারের ছেলে এবং বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
নাহিদের স্বজনরা জানান, একই ইউনিয়নের মোস্তাইল পূর্বপাড়া ইসমাইলের ছেলে রবিউল (২০) কয়েকদিন আগে মোবাইল ফোনে নাহিদকে হত্যার হুমকি দেয়। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দেয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে ডেকে ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠকে বসেন। কিন্তু রবিউলের বাবা ছেলেকে বৈঠকে হাজির করতে না পেরে বৈঠক ছেড়ে চলে যায়।
তারা আরও জানায়, শনিবার নাহিদ ডেমাজানী কমরউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শেষে জাহিরুল ইসলাম ত্বহা নামে তার এক সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে সোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঘাষিড়া এলাকায় ইউনিব্রাদার পল্ট্রি খামারের সামনে রাস্তার ওপর পথরোধ করে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুইজন নাহিদের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় নাহিদকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, মোবাইলে হুমকির বিষয়ে নাহিদের বাবা পরিষদে অভিযোগ করলে উভয়পক্ষকে পরিষদে ডাকা হয়। কিন্তু রবিউলের বাবা ইসমাইল হোসেন ছেলেকে হাজির করতে না পারলে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে রবিউলকে শাসন করতে তার বাবাকে বলে দেয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, মেয়ে নিয়ে ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, বন্ধুদের মধ্যে মেয়ে ঘটিত দ্বন্দ্ব নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মোবাইলে হুমকিদাতা রবিউলকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিহত নাহিদের মোটরসাইকেলে বসা সহপাাঠী জাহিরুল ইসলাম ত্বহাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এস.এ