সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
রাইসির মৃত্যুতে ‘গভীরভাবে শোকাহত’ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট আজ থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ টানা চতুর্থবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি ‘বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করছে বাংলাদেশ’ ভোটের মাঠের নিরাপত্তায় প্রায় দুই লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন হজ পালন করতে সৌদি পৌঁছেছেন ৩০৮১০ জন দ্বিতীয় দিনে ফের সড়ক অবরোধ অটোরিকশা চালকদের সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতে বিএসটিআই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার

রমনা ট্রাজেডি: সাক্ষী না আসায় ১৮ বছর ঝুলে আছে মামলা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ১৮ বছর পার হতে চলল। হামলার ঘটনায় হত্যা মামলার রায় পাঁচ বছর আগে হলেও সাক্ষী না আসায় ঝুলে আছে বিস্ফোরক আইনের মামলা। বিস্ফোরক মামলায় সাক্ষীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলেও তাদের আদালতে উপস্থিত করছে না পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছেন, সাক্ষীদের আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছে। তারা সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করার দায়িত্ব পুলিশের। পুলিশ তাদের আদালতের উপস্থিত না করায় মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ হচ্ছে না।

অপরদিকে পুলিশ বলছেন, সাক্ষীরা সম্মানিত ব্যক্তি। সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালত যে সমন জারি করে তা তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। তারা যেন আদালতে সাক্ষ্য দিতে যান সে জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়। সম্মানিত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে সাক্ষ্য দিতে নিয়ে যাওয়া অসম্মানের ব্যাপার।

ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় প্রায় পাঁচ বছরে ৮৪ জনের মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ২৬ জন। অবশিষ্ট সাক্ষীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পরও তারা আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন না।’

তিনি আরও বলেন, সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করার দায়িত্ব পুলিশের। কিন্তু পুলিশ তাদের আদালতে উপস্থিত করছে না। পুলিশের উচিত সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করানো।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলার সাক্ষীদের আদালত যে সমন দেন তা তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। এ ছাড়াও আদালত তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন তা তামিল করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মামলার সাক্ষীরা তো সম্মানিত ব্যক্তি। তাদের সাক্ষ্য দেয়ার জন্য গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে যাওয়া অসম্মানের ব্যাপার। তাই তাদের আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘নির্ধারিত প্রতি তারিখে সাক্ষীদের হাজির না করায় মামলাটির বিচার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। পুলিশের উচিত সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করে মামলার কার্যক্রম শেষ করতে সহযোগিতা করা। আমরা চাই মামলার বিচারকাজ দ্রুত শেষ হোক। রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে ন্যায়-অন্যায়ের।’

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (বাংলা ১৪০৮ সনের ১ বৈশাখ) ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে বোমা হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন। ওই ঘটনার পর রমনা থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।

২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এর মধ্যে ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- মাওলানা আকবর হোসাইন, মুফতি আব্দুল হাই (পলাতক), হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর (পলাতক), মাওলানা আবু বকর, মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক), মাওলানা তাজউদ্দিন (পলাতক) ও আরিফ হাসান সুমন। আসামিদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির, হাফেজ ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ ও মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল। ৩০২/৩৪ ধারায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে যারা কারাগারে আছেন তারা হলেন- মাওলানা আকবর হোসেন, আব্দুল হান্নান, আরিফ হোসেন, শাহাদাত হোসেন, সাব্বির, শেখ ফরিদ, আব্দুর রউফ, ইয়াহিয়া, আবু বকর ও আবু তাহের।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত মুফতি আব্দুল হান্নানের ফাঁসি ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে কার্যকর হয়েছে। সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

অন্যদিকে মাওলানা তাজউদ্দিন, শকিকুর রহমান, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর আলম বদর এখনও পলাতক।

বাংলা৭১নিউজ/এস.এম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com