বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে শিহাব ওরফে সাকিব নামে আনাসারুল্লাহ বাংলা টিমের একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি, শিহাব এই হত্যাচেষ্টায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আহমেদুর রশীদ টুটুলকে। ঘটনার সময় চাপাতির আঘাত ও গুলিতে টুটুলের সঙ্গে আহত হন ব্লগার লেখক তারেক রহিম ও রনদিপম বসু। এই ঘটনায় গ্রেফতার শিহাব সরাসরি জড়িত বলে দাবি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের। পুলিশ জানায়, টুটুল হত্যাচেষ্টার দুই মাস আগে শিহাব আনসারুল্লাহ বাংলাটিমে যোগ দেয়। চট্টগ্রামে দুইমাস প্রশিক্ষণ নিয়ে চার সঙ্গীসহ সে ঢাকায় আসে।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্র্যান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তারা মহাখালী এলাকায় একটি বাসা নেয়। যেটাকে তারা মারকাজ বলে। প্রকাশকের অফিসে ঢুকে পড়ে, তারা ভেবেছিল একজন আছে, কিন্তু সেখানে তিনজন ছিল। পরে তারা তিনজনের ওপরই হামলা চালায়। শিহাব নিজেই টুটুলের ওপর তিনটা আঘাত করে বলে স্বীকার করেছে।’
টুটুলের উপর যেদিন হামলা হয় একই দিন কাছাকাছি সময়ে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যা করে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের আরেকটি দল। পুলিশ দাবি, টুটুল হত্যাচেষ্টার সার্বিক দায়িত্বে ছিল শরীফ নামে একজন। আর দীপন হত্যার সমন্বয়কারী হিসেবে সেলিম নামে একজনের নাম পেয়েছেন তারা। দুইজনেই আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের তৃতীয় পর্যায়ের নেতা।
আনসার উল্লাহ বাংলাটিমের তাত্ত্বিক গুরু হিসেবে পরিচিত জসিম উদ্দীন রাহমানী ২০১৩ সাল থেকে জেলে থাকলেও গত দেড় বছর ধরে একের পর এক নাশকতা করে যাচ্ছে সংগঠনটি। এই সময়ের মধ্যে কর্মী পর্যায়ের অনেককে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও নেতৃত্বদানকারী কাউকে আইনের আওতায় আনা যায়নি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের ভাষায় কথিত ইসলামের দুষমনদের এইভাবে হত্যা করে একটা পর্যায়ে তারা আরো বেশি সংগঠিত হলে বড় কিছু করবে।’
রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান ধর্মগুরুকে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে ব্যাপারে খোঁজ খবর চলছে বলে জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস