সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
অন্তর্বাসে থাকতো ডিভাইস, ১০ মিনিটে শেষ হতো চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা ‘ডোনাল্ড লুকে নিয়ে উদ্ভট চিন্তা করছে বিএনপি’ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পরিচালিত হজ্জ বুথ ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন ঈদের পর থেকে শনিবারও বন্ধ রাখা হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকাশ সেন্ডমানিতে অভিনন্দন কার্ড বিএনপি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে : হাছান মাহমুদ চাকরির প্রলোভনে ভারতে নিয়ে কেটে নেওয়া হচ্ছে কিডনি: পুলিশ অনিচ্ছা সত্ত্বেও একীভূত হতে সোনালীর সঙ্গে বিডিবিএলের সমঝোতা সংসদীয় গণতন্ত্রকে গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে বিআইপিএস অ্যাম্বুলেন্সে মিললো ৬০ হাজার ইয়াবা, কারবারি গ্রেফতার আফগানিস্তানে বন্যায় নিহত বেড়ে ৩১৫ এমন উন্নত বাংলাদেশ চাই যে দেশকে নিয়ে সারাবিশ্ব গর্ববোধ করবে পাঁচ তারকা মা রোববার ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার কথা জানালেন বাইডেন আইএলওর সঙ্গে সন্তোষজনক আলোচনা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন চাকরিতে ৩৫ প্রত্যাশী ৫০০ আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা: ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন দলগতভাবে নির্বাচন হলে ভোটার উপস্থিতি সহজ হতো: নানক নির্বাচনের পর সংকট আরও বেড়েছে: ফখরুল

মানবতাবিরোধী অপরাধ, কাল নেত্রকোনার পাঁচজনের রায়

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৯
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শেখ মো. আবদুল মজিদ ওরফে মজিদ মাওলানাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার।

আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায়ের এ দিন নির্ধারণ করেন।

মজিদ মাওলানা ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন মো. আবদুল খালেক তালুকদার, মো. কবির খান, আবদুস সালাম বেগ ও নুরউদ্দিন। বর্তমানে সবাই পলাতক রয়েছেন।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি এ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নি। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।

এই মামলার মোট আসামি ছিলেন সাতজন। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা যান আহাম্মদ আলী (৭৮)। আর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় মারা যান আরেক আসামি আবদুর রহমান।

আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট দুপুর ১টায় রাজাকার বাহিনী নিয়ে বাড়হা গ্রামের আবদুল খালেককে গুলি করে হত্যার পর কংস নদীর পানিতে মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শহীদ আবদুল খালেকের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির বাদী হয়ে ২০১৩ সালে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করলেও পরে তদন্তে আরো তিনজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে মোট আসামি হন সাতজন। কিন্তু পরে দুই আসামি মারা যান।

বাদী মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদির মামলায় অভিযোগ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত তাঁর বড় ভাই আবদুল হেকিম ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান করছিলেন। রাজাকাররা এ খবর জানতে পেরে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বড় ভাই আবদুল খালেককে পিঠমোড়া করে বেঁধে মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের খোঁজ-খবর জানতে চান।

ভাইদের কোনো খোঁজ না দেওয়ায় তখন রাজাকার বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের ঘরে লুটপাট করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে ভাই খালেককে ধরে নিয়ে গিয়ে জারিয়া রাজাকার ক্যাম্পে দুদিন আটক রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। পরের দিন ২১ আগস্ট তাঁকে জারিয়া কংশ নদের পাড়ে গুলি করে হত্যা করে নদীর পানিতে মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এমট

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com