সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ’র ৭ আহ্বান ‘ইরানে হামলা চালালে এবার পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু হবে’ লন্ডনের সেই ফ্ল্যাট নিয়ে মিথ্যাচার, মন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন টিউলিপ ৩ ঘণ্টা পর আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক উড়তে থাকা লিভারপুলকে আটকে দিল ইউনাইটেড চীনের পর মালয়েশিয়ায় মিললো এইচএমপিভি ভাইরাস, দ্রুত ছড়ানোর শঙ্কা মঙ্গলবার লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া : মির্জা ফখরুল লাইভে এসে শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যা বললেন মেজর ডালিম মারা গেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র যে কোনো দিন পদত্যাগ করতে পারেন ট্রুডো জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে রাজবাড়ীতে শীতার্তদের পাশে সেনাপ্রধান অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা সহায়তায় পাবেন ১০-৫০ হাজার টাকা কমিশনের সুপারিশের পর স্বাস্থ্যের সংস্কার শুরু হবে : উপদেষ্টা বিএনপি নেতা এস এ খালেক মারা গেছেন সিরিয়ায় তুরস্ক সমর্থিত গোষ্ঠী ও কুর্দি বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত শতাধিক সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সম্পদের তথ্য জমা দিতে হবে মাউশিতে মুন্সীগঞ্জে অতিরিক্ত সচিবের বাড়িতে ডাকাতি আরও পাঁচ ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটি পাট-পর্যটন-ফার্মাসিউটিক্যালস-টেলিকমে বিনিয়োগের আহ্বান

পাকিস্তানে মুসলিমদের সহায়তায় খ্রিস্টানদের জন্য চার্চ নির্মাণ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ১২ জুন, ২০১৬
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ধর্মীয় সহিংসতা ও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু ধর্মীয় সহিংসতার এই দেশেও অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি হৃদতা ও ভালোবাসার বর্হিপ্রকাশ দেখা যায়।

গোজরা অঞ্চলের একটি গ্রামে মুসলিম দরিদ্র কৃষকেরা তাদের আয় থেকে কিছু অংশ জমিয়ে প্রতিবেশী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য চার্চ নির্মাণে সাহায্য করেছেন। ইজাজ ফারুক এই গ্রামের একজন বাসিন্দা তিনি প্রতিদিন মসজিদে নামাজ পড়ার পর চার্চে যান। খ্রিস্টান প্রতিবেশীদের জন্য চার্চ নির্মাণের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে তিনিও একজন।

ফারুক আশা করেন, এই চার্চ নির্মাণের পর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে পারবেন, একসঙ্গে প্রার্থনা করতে পারবেন।

পাকিস্তানে যেখানে সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ বারবার হামলার শিকার হয় সেখানে চার্চ নির্মাণের বিষয়টি স্বপ্নের মতো বিষয়।

ইজাজ ফারুক বলেন, “গোজরা দাঙ্গার পর আমরা সবাইকে আরো বেশি কাছাকাছি আনার চেষ্টা করছি। এই চার্চ নির্মাণের মাধ্যমে আমরা দেখাতে চাই যে একটা সম্প্রদায়ে মতো আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ”।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ফারইয়াল মসিহ বলেন, “ছোটবেলা থেকেই দেখছি ধর্মের উপরেও আছে বন্ধুত্ব। জন্মের পর থেকেই দেখছি আমরা একসঙ্গে বাস করছি ভালোবাসা নিয়ে। একে অপরের বিয়ে উৎসবে যোগ দিচ্ছি। আমরা সুখ-দুঃখ একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। গোজরায় যা ঘটেছিল তার যেন পুনারবৃত্তি না হয় আমি সেই প্রার্থনাই করি।”

এই গ্রামের খ্রিস্টান অধিবাসীদের জন্য আলাদা কোনও বাড়ি নেই, তারা মুসলিম প্রতিবেশিদের সঙ্গেই বাস করে। ২০০৯ সালে গোজরায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর ধর্মীয় হামলার ঘটনা ঘটে, আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় তাদের চার্চ ও ঘরবাড়ি। ওই হামলায় ১০জন নিহত হয়। এই গ্রামের মানুষেরা সেই সহিংস ভুলেনি। কিন্তু তারা দেখিয়ে দিতে চায় ব্যক্তিগত ভালোবাসা সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে হারিয়ে দিতে পারে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com