শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মাও সেতুংয়ের জন্মদিনে চীনের আকাশে ‘গোপন বৈশিষ্ট্যের’ যুদ্ধবিমান ক্রসফায়ারে নিহত বিএনপি নেতার পরিবারকে বাড়ি দিচ্ছেন তারেক রহমান নাশকতাকারীরা কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন সুখরঞ্জন ঢাকা মেইলের সাংবাদিক কাজী রফিক আর নেই পাকিস্তানে পৃথক সংঘর্ষে এক মেজর ও ১৩ সন্ত্রাসী নিহত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক বারবার জাতীয় পতাকাকে খামচে ধরছে পুরোনো শকুন: উপদেষ্টা আদিলুর রহমান আরাকান থেকে পালিয়ে দেশে ঢুকেছে আরও ৩৪ রোহিঙ্গা তেল আবিব বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুথিদের আবাসন মেলায় ৪০৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-প্লট বুকিং নির্বাচনেও যেতে হবে কিন্তু তার আগে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে: দেবপ্রিয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল: আইএসপিআর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার প্রধান ফটক হলো নির্বাচন: ফখরুল সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শুরু সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হতে হবে, কাউকে প্রতিপক্ষ ভাবা ঠিক নয় জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো রাজনৈতিক দল হবে না: সারজিস আলম খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি বাধা নেই ঢাকামাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫ নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তদন্ত চলছে: ফায়ারের ডিজি

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে কেন এই বিরোধ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্রধারী দুই দেশ ভারত এবং পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে কথিত জঙ্গী আস্তানায় ভারতীয় বিমান হামলার ঘটনার পর পাকিস্তান এর জবাব দেয়ার কথাও বলেছে।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, ভারত অপ্রয়োজনীয় আগ্রাসন চালিয়েছে। পাকিস্তান তার সুবিধাজনক সময়ে এর জবাব দেবে।

এদিকে ভারতও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।ফলে কাশ্মীর নিয়ে দেশ দু’টির সংকট একটা চরম অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন।

ভারত-পাকিস্তান আগে ১৯৬৫ এবং ১৯৯৯ সালে দু’বার যুদ্ধে জড়িয়েছিল কাশ্মীর নিয়ে।এখন পরিস্থিতি ভিন্ন । কারণ দুই দেশের কাছেই পরমাণু অস্ত্র রয়েছে।

কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে দেশ দু’টির মধ্যে বিরোধ কেন?

ব্রিটেন থেকে ভারত পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে যখন স্বাধীনতা পায়, তখনই দুই দেশই কাশ্মীরকে পাওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিল।ভারত পাকিস্তান ভাগ করার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাশ্মীর দুই দেশ থেকেই মুক্ত ছিল।

তবে তৎকালীন কাশ্মীরের স্থানীয় শাসক বা রাজা হরি সিং ভারতকে বেছে নিয়েছিলেন।তিনি একটি চুক্তির মাধ্যমে কাশ্মীরকে ভারতের সাথে অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন।

ইতিহাসবিদরা বলেন, ইনস্ট্রুমেন্ট অব অ্যাক্সেশনের মাধ্যমে কাশ্মীর ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল ঠিকই কিন্তু যে শর্তে তা হয়েছিল, সেই শর্ত থেকে ভারত অনেকটা সরে এসেছে।পাকিস্তানও অনেকটা জোর করে এই ব্যবস্থায় ঢুকেছে এবং সেই থেকে সংকট জটিল থেকে আরও জটিল হচ্ছে।

ভারত শাসিত কাশ্মীর কেন সবসময় অস্থিতিশীল থাকছে?

এই অংশের অনেক মানুষ ভারতের শাসনে থাকতে চায় না। তারা পাকিস্তানের সাথে ইউনিয়ন করে যুক্ত হতে অথবা নিজেরা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে থাকতে চায়।

কারণ ভারত শাসিত জম্মু কাশ্মীরে ৬০ শতাংশের বেশি মুসলিম।ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে এই একটি রাজ্য, যেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।এছাড়া কাশ্মীরে কর্মসংস্থানের অভাব এবং বৈষ্যমের অনেক অভিযোগ রয়েছে।

কাশ্মীরে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধেও নির্যাতন চালানো অনেক অভিযোগ রয়েছে।এমন প্রেক্ষাপটে সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনও দিন দিন সহিংস হয়ে উঠছে।এই সহিংসতায় গত বছরেই সাধারণ নাগরিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ ৫০০ জনের মতো নিহত হয়েছে।

২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রো মোদি এবং তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলেন।

কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে আশা তৈরি হয়েছিল

বছরের পর বছর রক্তক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশই যুদ্ধ বিরতি দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল ২০০৩ সালে।পাকিস্তান পরে ভারত শাসিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অর্থ সহায়তা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।২০১৪ সালে ভারতে নতুন সরকার এসেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে।

কিন্তু ভারতের সেই সরকারও পাকিস্তানের সাথে শান্তি আলোচনা করার আগ্রহ দেখায়।তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দিল্লী গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।এর এক বছর পরই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়।দুই দেশ কি আবারও চরম শত্রুর জায়গায় ফিরে যাচ্ছে?

২০১৬ সাল থেকে ভারত শাসিত কাশ্মীরে দেশটির সামরিক ঘাঁটিত বেশ কয়েকটি আক্রমণ হয়েছে।কিন্তু গত ১৪ই ফেব্রূয়ারি যে আত্নঘাতি হামলা হয়েছে, তাতে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি।এই হামলায় ৪০ জনের বেশি ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছে।এই ঘটনা দুই দেশকে আবারও মুখোমুখি করেছে।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: বিবিসি বাংলা অনলাইন

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com