বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
তিতাসে বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শতভাগ সফলতা নিয়ে কলকাতা থেকে ফিরছে ডিবি : হারুন বাংলাদেশিদের জন্য ১২ ক্যাটাগরিতে ভিসা দেবে ওমান ‘সড়ক-মহাসড়কে পশুর হাট বসানো যাবে না’ গণতন্ত্র আছে বলেই দুর্যোগের সময় সরকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রাম উপকূলের ৫০ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ সমস্যা সমাধানে আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে চায় চীন পর্যটন ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়া হবে শতবর্ষী জাহাজ চলতি বছরের শেষে তৃতীয় টার্মিনালে যাত্রী পরিবহন শুরু: বিমানমন্ত্রী ঈদের আগেই সব ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের কাজ শেষ করার নির্দেশ আন্তর্জাতিক ‘এআই গভর্নেন্স এজেন্সি’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিলেন পলক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করবেন ৫০ জলদস্যু গাজা-মিশর সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েল গাজাবাসীকে সমর্থন করে আপনারা ইতিহাসের সঠিক পথে অবস্থান নিয়েছেন সিলেটে বন্যা বিপৎসীমার ওপরে ৫ নদী, তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট-বাড়িঘর আন্দোলন আরও বেগবান করার শপথ বিএনপি নেতাদের এবার আগেই আসছে বর্ষা, টেকনাফ উপকূলে মৌসুমি বায়ু ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ইতালির প্রতি আহ্বান এরদোগানের দীপিকার সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইএমওর সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ

কাল মমতার ডাকা ঐতিহাসিক সমাবেশ, ৫০ লাখ মানুষের সমাগম হবে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

♦বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক পোঁতার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে-মমতা

♦ব্রিগেডের অন্যতম লক্ষ্য বিজেপি বিরোধী সব দলকে এক মঞ্চে হাজির করা

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা ভোটে আঞ্চলিক দলগুলি নির্ণায়ক শক্তি হবে। বিজেপি ১২৫আসনে থেমে যাবে। ব্রিগেডে সভাস্থল পরিদর্শনের পর হুঁশিয়ারি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক পোঁতার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্রিগেডে সমস্ত বিরোধী দলের নেতারা আসবেন। তাঁদের কথা শুনে আমি আমার মতামত দেব।’’ তৃণমূলনেত্রীর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ক’টা আসন পাবে, তা ভোটের পরেই বোঝা যাবে।’’ আগামীকাল শনিবার শুরু হবে এই ঐতিহাসিক সমাবেশ। প্রায় ৫০ লাখ লোক উপস্থিত থাকবে সমাবেশে।

এদিকে, মমতার ডাকা ঐতিহাসিক সমাবেশের প্রাক্কালে কলকাতা যেন পরিণত হয়েছে জোড়াফুলের শহরে। ঘোষিত ব্রিগেড সভার আগে শহরটাই এখন তৃণমূলময়। দূরবর্তী জেলা থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা কলকাতায় এসে পৌঁছচ্ছেন। এবারের ব্রিগেডের অন্যতম লক্ষ্য হল, বিজেপি বিরোধী সব দলকে এক মঞ্চে হাজির করা। সেই মতো আজ শুক্রবারই কলকাতায় হাজির হয়ে যাবেন দেশের তাবড় তাবড় নেতা। বেলা ১১টার পর থেকে বিমানবন্দরে নামবেন জাতীয়স্তরের নেতারা।

সেই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শারদ পাওয়ার, জেডিইউ নেতা শারদ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা, সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, বিএসপি’র রাজ্যসভার নেতা সতীশ মিশ্র, ডিএমকে’র নেতা স্ট্যালিন, গুজরাতের নেতা হার্দিক প্যাটেল, জিগ্নেশ মেওয়ানি, লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকাজুন খাড়গে এবং অসমের ইউডিএফ নেতা বদরুদ্দিন আজমল।

তাঁদের স্বাগত জানানোর জন্য বিমানবন্দরে ক্যাম্প করে থাকবেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং দলীয় সংসদ সদস্যরা। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্য সরকারের প্রটোকল অফিসাররা বিমানবন্দরে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানাবেন। তাঁদের সহযোগিতা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের আপ্ত সহায়ক রতন মুখোপাধ্যায়। জাতীয় স্তরের নেতাদের দেখভালের জন্য তিনিও কলকাতায় চলে এসেছেন।

বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সহ তিনজন বাদে সব নেতাই শুক্রবার শহরে চলে আসবেন। রাতে শহরে থেকে পরের দিন যোগ দেবেন ব্রিগেড সমাবেশে। ব্রিগেড সমাবেশের পর বিকেল চারটের সময় আলিপুরের সৌজন্য ভবনে চা চক্রের আসরে যোগ দেবেন জাতীয়স্তরের নেতারা। সেখানেই মোদি বিরোধিতার একটি রূপরেখা তৈরি হবে। অধিকাংশ নেতাই শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা ছাড়বেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

বিভিন্ন রাজ্যের নেতা, মুখ্যমন্ত্রী মিলিয়ে প্রায় ২০ জন জাতীয়স্তরের নেতা হাজির থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে। তবে কর্ণাটকে উদ্ভূত রাজনৈতিক ডামাডোলের জেরে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ব্রিগেড সমাবেশে একদিকে সর্বভারতীয় সব বিরোধী নেতার উপস্থিতি যেমন তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনই এই সভা নিয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থক মহলেও বিপুল উৎসাহ দেখা দিয়েছে। রাজ্য জুড়েই ব্রিগেডকে ঘিরে অসংখ্য মিছিল-মিটিং করেছেন তৃণমূলের ছোট, মাঝারি, বড় নেতারা। কার্যত রাজ্য চষে বেড়িয়েছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

ব্রিগেডের সভায় যোগ দিতে ট্রেনে করে কলকাতার দিকে যেমন রওনা দিয়েছেন অনেকে, তেমনই আবার বাস, ট্রাক আর ম্যাটাডরে চেপেও আসতে উৎসাহী সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা। গাড়ি জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নেতাদের। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমরা ১২০০ বাস, ৮৯০টি লরি, ১৪০০ টাটা ৪০৭ এবং আড়াইশোটি সরকারি বাসের ব্যবস্থা করেছি। তবুও এখনও বাস সহ অন্য গাড়ি চাইছেন কর্মীরা। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর থেকে বিপুল সংখ্যায় কর্মীদের ব্রিগেডমুখী করাই নেতৃত্বের প্রধান লক্ষ্য।

ব্রিগেডে ৫০ লাখ মানুষের সমাগম হতে চলেছে। তা ধরে নিয়েই এগোচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসন। যেহেতু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান ও প্রাক্তন বহু মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, তাই নিরাপত্তা ও প্রোটোকলে জোর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্য ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। বিমানবন্দর থেকে ব্রিগেড পর্যন্ত পথে ভিন দলের নেতৃত্বের কাটআউট রাখা হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে ঢোকার ৭টি প্রবেশ পথ থাকছে। দু’দিন আগে থাকতেই দূরদূরান্তের জেলা থেকে লোক আসতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই নির্দিষ্ট জায়গা লোকে ভরে গিয়েছে। উত্তরের বিধাননগর সেন্ট্রাল পার্ক, দক্ষিণের গীতাঞ্জলী স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেনু মোটামুটি একই।

খাবার ম্যানুতে থাকবে ভাত, ডাল, কুমড়ো-আলুর তরকারি এবং ডিমের ঝোল। সেন্ট্রাল পার্কে তৈরি করা হয়েছে ৩০টি অস্থায়ী শৌচালয়, এসে পৌঁছেছে ৫৫টি বায়ো টয়লেটও। স্নানের জন্য ১২টি জলের কল। এখানেই আড়াই লক্ষের বেশি মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। দায়িত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুজিত বসু। কসবার গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে মূলত মুর্শিদাবাদ ও মালদহের মানুষ থাকছেন। সেই সব জায়গায় সিসিটিভি ছাড়াও পুলিশের নজরদারি থাকছে। শুক্রবার ভোরের দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেস বা গৌড় এক্সপ্রেস-সহ উত্তরবঙ্গের ট্রেনে চেপে কাতারে কাতারে লোক নামবেন হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনে। রাতেই উত্তরবঙ্গের সব স্টেশন থেকে এঁরা ট্রেনে চেপেছেন। সেই মানুষগুলোর জন্য বিভিন্ন ধর্মশালার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

১৯৯২ সালের ২৫ নভেম্বর বামফ্রন্টের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে সাড়া জাগিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই ব্রিগেড থেকেই বিজেপি’র মৃত্যুঘণ্টা বাজাতে চান তিনি। দেশে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্রিগেড আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বাংলা, হিন্দি ছাড়াও আরও পাঁচটি ভাষায় ট্যুইট করা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি/সূত্র: বর্তমান অনলাইন

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com